টেকনাফ নিউজ ডেস্ক ::. টেকনাফের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাখতে এবং যানজট নিরসনকল্পে সময়োপযোগী অভিযান চলছে। টেকনাফের পৌরশহরসহ পুরো উপজেলায় যানযটে মানুষ অতিষ্ট।আর এ যানজট দূর করতে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জনদূভোগ নিরসনে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ মডেল থানার ট্রাফিক জোনের (ওসি) ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া।টেকনাফের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাখতে এবং যানজট নিরসনকল্পে সময়োপযোগী অভিযান চলবে।
টেকনাফে তার এ প্রচেষ্টার প্রশংসায় ঝড় তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২৭ জানুয়ারী বুধবার সকাল হতে না হতেই টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাছ-তরিতরকারি কেনা-কাটার ব্যস্ততম সময়ে যানজট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সশরীরে নিজেই দায়িত্ব পালন করে যায়।
কয়েকজন পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টেকনাফ পৌর শহরের পুরাতন বাস স্টেশন, অলিয়াবাদ শাপলা চত্বর, কুলাল পাড়া জীপ ষ্টেশন, নাইট্যংপাড়া বাস টার্মিনাল, টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন সী বীচ সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসন ও জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে বলে তারা জানিয়েছেন। এমন একজনকে দায়িত্ব পালন করতে আগে কখনও দেখেননি। উনি যেভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এরকম হলে টেকনাফ সবসময় যানজট মুক্ত থাকবে।
আলম নামের পথচারি বলেন,সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে যানজটমুক্ত করতে নিজেই এগিয়ে এসেছেন টেকনাফ মডেল থানার ট্রাফিক জোনের (ওসি) ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া। আমি ওসির এ কাজ দেখে খুব খুশি, তিনি এমন কাজ করবেন তা ভাবতে পারিনি।
মোতালেব নামের অপর পথচারি বলেন,ট্রাফিক ওসি সাহেব টেকনাফ পৌর শহরে যানজট নিরসনে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যখনই সময় পান পায়ে হেঁটে, মোটর সাইকেলে এসে যানজটমুক্ত করেন, তারপরে তার গন্তব্যস্থলে যান। তার এই সুন্দর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন টেকনাফের সকল সুধী সমাজ।এজন্য সর্বমহলে প্রশংসিতও হচ্ছেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ট্রাফিক জোনের (ওসি) ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া বলেন,বলেন,টেকনাফ ব্যস্ততম একাট শহর। হাজার লোকের বসবাস এবং প্রতিদিন শত শত মানুষ এই শহরের ওপর দিয়ে নানান যানবাহনে বিভিন্ন সড়কে প্রবেশ করছেন। যে কারণে সড়ক-উপসড়কে যানজট প্রতিনিয়ত। যানজটের কারণে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকেন, সেই যানজট কমাতে থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে আরও জনবলের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও জানান,টেকনাফের যানজট নিরসনে দীর্ঘদিন যাবত সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জনদূর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপসহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ।আর টেকনাফের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাখতে এবং যানজট নিরসনকল্পে সময়োপযোগী অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
সড়ক পরিবহণ আইন- ২০১৮ মোতাবেক
💢যে কোন যাত্রীবাহী যানবাহনে কোন মালামাল বহন করা যাবে না।
💢বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া এবং ১৮ বছরের নিচে কেউ কোন যানবাহন চালাতে পারবে না
💢কোন রোহিঙ্গাকে চালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
💢 রোহিঙ্গা নিয়োগদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেওয়া হইবে।
পরবর্তীতে কঠোরভাবে যথাযথ আইন প্রয়োগ করা হবে এবং সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply