বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দেশে দূর্নীতি ও অরাজকতার জন্য অসৎ নেতৃত্বই দায়ী। জনদূর্ভোগ,মূল্যস্ফীতি ও অনিয়ন্ত্রিত বাজারদর আ’লীগের দুঃশাসনেরই ফসল। গুম,খুন,অপহরণ ও ধর্ষণ সরকারের অপরিণামদর্শী ও প্রতিহিংসাপরায়ন রাজনীতিই দায়ী। সরকারের রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের গ্যাড়াকলে দেশপ্রেমিক নীরিহ জনতা আজ জিম্মি। এ অবস্থার উন্নতির জন্য দুর্নীতিপরায়ন সরকারের পতনের বিকল্প নেই।তিনি গতকাল জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শাখা আমীর অধ্যক্ষ নুরুল হোছাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী জিএম রহীমুল্লাহ ও এসিঃ সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী চেয়ারম্যান। আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ তারেক, মাওলানা রফিকুল্লাহ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, সৎ নেতৃত্বের অবস্থান কামিয়াবী স্বার্থবাদীদের অসহ্য। এ জন্য যুগে যুগে সৎ ও খোদাভীরু লোকেরা কামিয়াবী স্বার্থবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। অত্যন্ত নির্মমভাবে লাঞ্ছিত,অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও তার ব্যতিত্রম নয়। দেশের ভালো ও সৎ নেতৃতের¡ উপর অবর্ণনীয় জুলুুম চলছে। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য দ্বীন কায়েম তথা কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পতাকাবাহীদের আল্লাহর সাথে আরো গভীর সম্পর্ক বাড়াতে হবে এবং দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারের গণবিরোধী ও একগুঁয়েমীর কারণে দেশ অনিবার্য সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। দেশকে আরেক ওয়ান ইলেভেনে নিয়ে গিয়ে পূনরায় ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছে আ’লীগ। দেশকে ধ্বংস করে প্রতিবেশী দেশের করদ রাজ্য বানানোর পায়ঁতারা করছে। আ’লীগের এ দেশ বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীকে সংগে নিয়ে জামায়াতের নেতা কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন,জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরী করতে হবে। কুরআন- হাদীস ও বৈষয়িক জ্ঞানে পারদর্শি হতে হবে। তথ্য প্রযুক্তিকে দ্বীনের প্রচারের কাজে লাগাতে হবে। সুন্দর ভাষণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের জবাব দেওয়ায় অভ্যস্থ হতে হবে। চারিত্রিক মাধুর্য্যরে মাধ্যমে দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াতের প্রসার ঘটাতে হবে। এভাবে সমাজের সব লোকদের নিয়ে একটি ইসলামী কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।
Leave a Reply