তাহেরা আক্তার মিলি …টেকনাফে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্য চোরাকারবারী কাছে সরকারী হাসপাতালের মাঠকর্মী ও এনজিও কর্মীরা সুখীবড়ি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নামে সরকারীভাবে বরাদ্ধকৃত রপ্তানী নিষিদ্ধ সুখীবড়ি চোরাইপথে মায়ানমারে পাচারে জড়িতরা টেকনাফের মৌলভী বাজারের সূর্যের হাসি ক্লিনিক, ও বাস ষ্টেশনের মেরী স্টোপস,সরকারী হাসপাতালের মাঠকর্মী।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরো জানায়, সুর্যের হাসি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকারী বিনামুল্যের এসব সুখীবড়ি ও কনডম জনগনের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। মুলত সুর্যের হাসি ক্লিনিকের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে এসব মাঠকর্মীরা এগুলো বিতরণ ও বিপনন কার্যক্রম করেন নির্ধারিত এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, সুর্যের হাসি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে মাঠকর্মীরা এলাকায় বিতরণের নামে এসব সুখীবড়ি ও কনডম বরাদ্ধ নিয়ে কৌশলে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। যা গ্রাম্য প্রত্যোক এসব সুখি ট্যাবলেট পাওয়া বলে ভুক্তভোগী ও ক্রেতা অভিযোগ করছে । টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একম গ্রাম্য ডাক্তার জানান, আমরা এসব সুখি বড়ি সরকারী হাসপাতালের মাঠকর্মী থেকে ক্রয় করে থাকি। তবে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টেকনাফের সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পৃথক অভিযান চালিয়ে শহরের হলিডে মোড় এলাকা থেকে ১ হাজার ৯শ টি পিচ জন্ম নিরোধক ইনজেকশন ও ৮৪ হাজার পিচ সুখি বড়ি উদ্ধার করেছে। আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের মালামালে ২ পাচারকারীকে আটক করেছে। এসময় উদ্ধার করা হয় ১ হাজার ৯শ টি জন্ম নিরোধক ইনজেকশন ( ৭৬ প্যাকেট) ও ৮৪ হাজার পিচ ( ৩ হাজার পাতা) সুখি বড়ি আটক করে। পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয় এবং টেকনাফ নাইট্যং পাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে ২৬৪ কার্ড সরকারী সুখিবড়ির পাতা জব্দ করে বিজিবি। জন্ম নিরোধক ইনজেকশন ও সুখি বড়ি কক্সবাজারে জেলার যে কোন সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিক থেকে সংগ্রহ করা হয়।এক শ্রেনীর পাচারকারী বাংলাদেশের সূখিবড়ি মিয়ানমারে পাচার করে বেশি দামে বিক্রি করছে। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিভিন্ন সেমিনার ও প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হলে ও তা সভায় মাত্র। মাঠকর্মীর পরামর্শ অবহেলা ফ্রি সুখিবড়ি বিতরণ করার কথা থাকলে তা বিতলন না করে মোটা অংকে বিক্রি করার আশায় তা জমা করা হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে মেয়েরা ও এ পদ্ধতি গ্রহণ করছেনা। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে এ এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: শামসুজ্জামান রাকিবুনেচ্ছা চৌধুরী কাছে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে বরং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: শামসুজ্জামান রাকিবুনেচ্ছা চৌধুরী কাছে ফোন করতে বলেন।
Leave a Reply