হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম…উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত শত শত গাছ কেটে ও চারা নষ্ট করে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরী করার সময় উপকূলীয় বন বিভাগ ও বিজিবি যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছে। ২৪ অক্টোবর টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের পূর্বে নাফনদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘটেছে এঘটনা। রাতে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়- টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জের আওতাধীন হ্নীলা বন বিট এলাকা ঝিমংখালীস্থ হ্নীলা মৌজার ১২৬০১ দাগের ১৯৯৩-১৯৯৪ অর্থ সনের সৃজিত উপকূলীয় বন বাগানের শত শত গাছ কেটে ও চারা নষ্ট করে স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু ২৪ অক্টোবর সকালে রিং বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরী করে জবর দখল করতে শত শত শ্রমিক কাজ করছিল। রিং বাঁধ দিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগরে বিশাল আয়তনের জমি জবর দখলের খবর পেয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ অফিসার সিরাজ উদ্দীন, হ্নীলা বিট অফিসার আব্দুল আউয়াল স্টাফসহ বিজিবি ঝিমংখালী বিওপির কোম্পানী কমান্ডার লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি জওয়ানদের দল অভিযান চালিয়ে জবর দখল উচ্ছেদ করে। বনকর্মী ও বিজিবি জওয়ানদের উপস্থিতি দেখে ভূমি দস্যুর দল পালিয়ে যায়। অভিযানে অংশ গ্রহণকারী বিট অফিসার আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় লোকজন জানায়- জবর দখলকারী ভূমি দস্যুরা উপকূলীয় বন বিভাগের জমি জবর দখল করে চিংড়ি ঘের তৈরির শুরুতে অল্প অল্প করে উপকূলীয় বাগানের গাছ কাটা শুরু করে। এরপর হঠাৎ শত শত শ্রমিক লাগিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে প্রথমে রিং বাঁধ নির্মাণ করে জবর দখল প্রক্রিয়া শুরু করে। কেউ তদন্ত গেলে যাতে সেখানে গাছ বা গাছের গোড়ালী(মোথা) না দেখে সেজন্য আগেই বাগানের গাছ ও গোড়া সাবাড় করে ফেলে। জানা যায়- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নে রয়েছে উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত ও প্রাকৃতিক বাগান। কিন্তু উপকূলীয় বন বিভাগের জনবল স্বল্পতার সুযোগে ভূমিগ্রাসীরা এভাবে উপকূলীয় বন ভূমি উজাড় করে চিংড়ি ঘের তৈরী করছে। ###############
Leave a Reply