হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত একজন শিক্ষিকা অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। তিনি হলেন টেকনাফ মহেষখালীয়া পাড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ডেপুপেটশনে হোয়াইক্যং কেরুনতলী সরকারী প্রাইমারী স্কুলে কর্মরত বর্ণালী বড়ুয়া। টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) আবু নোমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে উক্ত শিক্ষিকা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এব্যাপারে ৪ এপ্রিল ২০১২ উক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা(৯৩০)হয়েছে। এরপর উক্ত শিক্ষিকা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ৬ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনা ছুটিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত শিক্ষকদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও ২ জন পূরুষ। তম্মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষকও রয়েছেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৬ জনই সরকারী প্রাইমারী স্কুলে কর্মরত। ৬ জনের মধ্যে ১ জন শিক্ষিকা গত প্রায় এক বছর ধরে স্বামীর সাথে লন্ডনে বসবাস করছেন এবং এক জন শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত থেকে কক্সবাজারে নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া টেকনাফ উপজেলা বিআরডিবি হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্টিত মাসিক সমন্বয় সভায় কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের (ভারপ্রাপ্ত) উপস্থিতিতে বিষযটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিনা ছুটিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত শিক্ষকবৃন্দরা হলেন- শাহপরীরদ্বীপ স্কুলের রাহমত উল্লাহ, মহেশখালীয়া পাড়া স্কুলের বর্নালী বড়–য়া, নাইক্ষ্যং খালী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার, নয়াপাড়া স্কুলের মায়মুনা আক্তার, মহেশখালীয়া পাড়া স্কুলের ইশরাত জাহান ও কান্জর পাড়া স্কুলের মোঃ আলী। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়- বর্নালী বড়–য়া টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া সরকরী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় তদবীরের জোরে ডেপুটেশনে হোয়াইক্যং কেরুনতলী সরকারী প্রাইমারী স্কুলে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বদলী করা হয়েছিল । উক্ত স্কুলে অল্প কিছুদিন চাকুরী করার পর আর স্কুলে আসেনি। মহেশখালীয়া পাড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওঃ শওকত আলী জানান- সহকারী শিক্ষিকা বর্নালী বড়–য়া ডেপুটেশনে কেরুনতলী স্কুলে যাওয়ার পর স্বামীর সাথে লন্ডনে চলে গিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে লিখিত ভাবে টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছেন। শাহপরীরদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার কলিমুল্লাহ জানান- সহকারী শিক্ষক রাহমত উল্লাহ গত কয়েক মাস থেকে একাধারে স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি কক্সবাজার শহরে অবস্থান করে আইন পেশায় নিয়োজিত। এছাড়া নাইক্ষ্যংখালী সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকা নার্গিস আক্তার, সাবরাং নোয়াপাড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মায়মুনা আক্তার, হোয়াইক্যং কান্জর পাড়া সরকরাী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলী, টেকনাফ মহশেখালীয়া পাড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ইশরাত জাহান গত কয়েকমাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আ ন ম আবদুল্লাহ ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং এ নিয়ে জেলা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সমন্বয় সভায় আলোচনার কথা স্বীকার করে জানান- অনুপস্থিত শিক্ষকগণ কিছু দিন পর পর মেডিকেল ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু ১০ দিনের অধিক মেডিকেল ছুটি মঞ্জুর করা তাদের এখতিয়ার নেই। তবে অনুপস্থিত ৬ শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে কয়েক জন ইতিমধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে স্কুল গুলোর অভিভাবকগণ জানান- শিক্ষকদের দীর্ঘ্য অনুপস্থিতির কারনে লেখাপড়া মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ###########
Leave a Reply