সুপ্রভাত ডেস্ক…টেকনাফে এক ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত ইয়াবা থেকে ২০০ ইয়াবা সোর্সকে উপঢৌকন দিয়েছে। গত ৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, গত ৩০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই এরশাদ উল্লাহর নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ শীলখালী এলাকায় একটি ঘটনা তদন্ত করতে আসে। এ সময় সেখানে মোটর সাইকেলসহ দু্ই জন ইয়াবা ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ তাদের ধরতে এসেছে ভেবে তাদের মধ্যে কবির আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী দৌড় দেয়। অপর ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে থাকে। তখন পুলিশ ধাওয়া করে দুজনকেই আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে। সেখান থেকে কবির আহমদকে মোটর সাইকেলসহ ছেড়ে দেয় পুলিশ।
তবে অপর ব্যক্তি মোঃ কালু (৩৫) কে চারশ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার দেখিয়ে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করা হয়। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবির পাড়া এলাকার মোঃ নুর আহাম্মদের পুত্র। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, কবির আহমদকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেলসহ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবির পাড়া এলাকার কালা মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় টেকনাফের সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই এরশাদ উল্লাহ জানান, কাকে আসামি করা হবে আর কাকে ছেড়ে দেয়া হবে সেটা পুলিশের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তিনি আরও জানান, অবশ্য উদ্ধারকৃত ইয়াবা থেকে সোর্সকে দুইশ ইয়াবা দেয়া হয়েছে বাকীটা উদ্ধার দেখানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত পুরিশ,বিজিবি,কোস্টগার্ড,ডিজিএফ আই ও এন এস আই সদস্যদের মধ্যে অনেকে ইয়াবা ব্যাবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। বিশেষ করে ওসি’র অধক্ষতা ও আন্তরিকতার অভাবে এ অবস্থা। জনশ্রুতি আছে ওসি নিজেই পুলিশের গাড়ীতে করে এক বড় নেতার মালের প্যাকেট নির্ধারিত স্থানে পৌছে দেয়। চিন্তা করুন আমরা কোথায় আছি……..টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত পুরিশ,বিজিবি,কোস্টগার্ড,ডিজিএফ আই ও এন এস আই সদস্যদের মধ্যে অনেকে ইয়াবা ব্যাবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। বিশেষ করে ওসি’র অধক্ষতা ও আন্তরিকতার অভাবে এ অবস্থা। জনশ্রুতি আছে ওসি নিজেই পুলিশের গাড়ীতে করে এক বড় নেতার মালের প্যাকেট নির্ধারিত স্থানে পৌছে দেয়। চিন্তা করুন আমরা কোথায় আছি……..