শামসুল আলম শারেক, >টেকনাফের হ্নীলা হাই স্কুলের শিক্ষকরা ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফের কর্মবিরতী শুরু করেছে। এতে আসন্ন নির্বাচনী, বার্ষিক ও জেএসসি পরীক্ষায় সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষকরা ক্লাসে না গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘৩ সিনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং অবৈধ কমিটি বাতিলসহ ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতী’ লেখা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষের বাইরে এসে ক্যাম্পাসে এলোমেলাভাবে ঘুরাফেরা করছে। এ অবস্থায় ১১টার দিকে বেল বাজিয়ে স্কুল ছুটি দেয়া হয়। কর্মবিরতী পালনরত টিচার্স কাউন্সিল সচিব মোস্তফা কামাল জানান, অবৈধ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে অচলাবস্থার এক পর্যায়ে গত ১ সেপ্টেম্বর কমিটি-শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে ৮ দফা সমঝোতা হলে শিক্ষকরা ক্লাসে যোগ দেয়। সমঝোতা অনুযায়ী শিক্ষক পক্ষের করণীয় বিষয়গুলো যথাযথ সম্পন্ন করা হলেও কমিটি পক্ষ তাঁদের করণীয় বিষয়গুলো সম্পন্ন না করে উল্টো এক শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে পাঠদান ও সহ-পাঠদান কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রোষের বশবর্তী হয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের যাচ্ছেতাই রূঢ় ব্যবহার, হেনেস্তা, শ্রেণী কক্ষে অযাচিত হস্তক্ষেপ, হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানী করায় আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতী পালনে বাধ্য হয়েছি।
প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ জানান, শিক্ষকদের বেতন দিয়ে দেয়ার পরও তাঁরা কেন ক্লাস করছে না তা বোধগম্য নয়।
সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিকদার জানান, শিক্ষকরা একটি দরখাস্ত দিয়েছে বলে জেনেছি। তাদের কর্মবিরতী পালনের ব্যাপারে অবগত নই।
সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও প্রথমে শিক্ষকদের কর্মবিরতী পালন সম্পর্কে অবগত নন বলে জানালেও পরক্ষণে অতীতে শিক্ষকদের দেয়া দরখাস্ত ও লিখিত হিসাবের বিবরণী দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে শোনান।
Leave a Reply