টেকনাফ প্রতিনিধি। টেকনাফে হোয়াইক্যংয়ের বড়–য়া পাড়ার দরিদ্র বাড়ী ঘরের অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট চালায় দুস্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুস্কৃতকারীদের আটকে কঠোর অবস্থান নেয়। এ নিয়ে এখন দুস্কৃতকারী গডফাদররা মহা আতংকে রয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের আধাঁরে বিপুল সংখ্যক লোকজন জড়ো করে প্রশিক্ষণ দিয়ে তান্ডব চালানো হয় বড়–য়া পাড়ায়। তবে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে হামলার ভয়াবহতা রুখে দেয়ার ভূমিকায় আলোচিত হয়ে উঠে সাংবাদিক রমজান উদ্দিন পটল। তিনি জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক ও দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশের প্রতিনিধি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্রাইমচিত্র ধারণের পাশাপাশি মানবিক ভূমিকা রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। হকিষ্টিক, লোহার রড, দা, ও লাঠি দিয়ে ভাংচুর করে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল। এ ঘটনায় সে গুরুতর আহত হয়। ঐ হামলার ভয়াবহতা রুখতে গিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ নিজেদের রক্ত ভাসিয়ে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা মতে বৌদ্ধদের ধর্মী উপাসানালয় ও পল্লীর তৃতীয়াংশের বেশি বাড়ীতে হামলার ছোঁয়া লাগাতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে। বিষয়টি সর্বমহলে আলোচিত হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ২৫জনকে আটক করে। তবে পরিকল্পনাকারীরা এখনও আড়ালে রয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা অপতৎপরতা চলছে।
পরিকল্পনাকারী ওরা কারা?
ধর্মীয় লেবাস পরে ‘নারায়ে তাকবীর’ শ্লোগানে গ্রামের ধর্মান্ধ লোকদের ধোকা দিয়ে লাঠি মিছিল নিয়ে মন্দিরে হামলার লক্ষ্যে রওয়ানা দেয়ার যারা পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব দেয় তারা এখন যেমন আড়ালে রয়েছে ঘটনার পর পর আচমকা হাওয়া হয়ে যায়। ওদের মধ্যে কতিপয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক নামধারী ব্যক্তিরাও জড়িত রয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা গেছে। এখন এসব ঘটনায় নেপথ্যে জড়িতদের টার্গেট পুলিশ ও সাংবাদিক। তারা আত্মরক্ষার কৌশলে নানা অপতৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ ও সাংবাদিক অপরাধীদের যম!
ঘটনার দিন হামলার আশংকায় বৌদ্ধ মন্দিরে অবস্থান নেয়া পুলিশের এস.আই. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স হামলা করতে যাওয়া দুস্কৃতকারীদের কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মন্দিরে ও পল্লীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে। তবে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে ও পাহাড়ী টিলার ৮/১০টি বসত বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত পরিকল্পনাকারী গডফাদারদের খাস চামচা সহ বিপুল সংখ্যক দুস্কৃতকারীকে আটক করে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় নেপথ্যে উস্কানি দাতা সে অশুভ শক্তির অনেক কাছের ক্যাডারদের। এসব ঘটনার ভয়াবহ অপরাধ চিত্র জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিক রমজান উদ্দিন পটল ধারণ করতে সক্ষম হয়। এ কারণে এখনো অপরাধীদের যম পুলিশ ও সাংবাদিক। পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয় সাংবাদিকের উপর।
ওরা কোন দলের, কোন সংস্থার ক্যাডার?
রবিবার রাতে হামলাকারী বাহিনীর সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন পরিবারে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এই হামলাকারী দলের লোকজন কারা, কোন দলের বা কোন সংস্থার তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাতে হামলাকারীদের ধারণকৃত ছবি প্রমাণ করে এরা কিছু উগ্রপন্থী প্রভাবশালীদের লালিত পালিত ক্যাডার।
ঘটনার গোপন তথ্য পর্যায়ক্রমে প্রকাশ হবে। #
Leave a Reply