টেকনাফ নিউজ ডেস্ক…রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার প্রশ্নে আর্ন্তজাতিক মহলের যত চাপ শুধুই বাংলাদেশের উপর। আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নিপীড়ন বন্ধে কোন চাপই দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকারকে। উল্টো সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘ, আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে তার সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু দাঙ্গার সময় খোদ মিয়ানমারে দায়িত্বপালনরত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপরও জাতিসংঘ সেখানে ব্যাপক সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলছেনা। এসব বিষয়ে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলো রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। বিভিন্ন কূটকৌশলের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে স্থায়ী করতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের এখানে স্থায়ী করতে কয়েকটি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও), দাতা সংস্থা ও খোদ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের যেমন মানবাধিকার ও জীবনমান নিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি ফুঁিলয়ে-ফাঁফিয়ে প্রচার করে ফায়দা লুটতে চায় ঠিক তেমনি মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদেরও মানবাধিকারের ধোঁয়া তুলে এদেশে নিয়ে আসতে চায়। কিন্তু তৃতীয় কোন বিশ্বে শরণার্থীদের নিয়ে যেতে চরম অনীহা তাদের। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে দাঙ্গা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলো রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিতে বলেছে। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাও। বাংলাদেশে থাকা তাদের প্রতিনিধিদের আনাগোনা বেড়ে যায় সীমান্ত এলাকায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সীমান্তে এসব বিদেশীদের কাজ কি? তিনি বলেন, মিয়ানমারের সমস্যা নিয়ে আর্ন্তজাতিক মহল মিয়ানমারের বিষয়ে চিন্তা না করে তারা বাংলাদেশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্গিত হলেও মানবাধিকার সংস্থা গুলো সেখানে কিছুই করছে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘু নির্যাতন হলেও দেশটিকে দৃশ্যত কোন চাপ দিচ্ছে না আর্ন্তজাতিক মহল। বরং বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পুরনো বোঝা না সরিয়ে নতুন করে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে এদেশের উপর চাপিয়ে দিতে তৎপর তারা। এর মধ্যেই আজ বুধবার বিকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাসহ ১৯ জনের একটি বিদেশী প্রতিনিধি দল। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন গতকাল বিদেশী প্রতিনিধি দল কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন বলে নিশ্চিত করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমার সফর শেষে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহা-সাগর বিষয়ক) জোসেফ ওয়াই ইয়েন, ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) আলাইচা আইরেস, ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী ( জনসংখ্যা, শরণার্থী অভিবাসন বিষয়ক ব্যুরো) কেলি ক্লেমেন্ট ও ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী (গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমবিষয়ক ব্যুরো) ড্যানিয়েল বায়ের। এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যার্ন্ডাস টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করেছেন। স্থানীয়দের মতে, আসলে বিদেশী সংস্থা গুলো এ দেশে রোহিঙ্গা সমস্যা জিঁইয়ে রাখতে চায়। তারা বাংলাদেশের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে যত না বেশি আগ্রহী তার চেয়ে বেশি আগ্রহী রোহিঙ্গাদের জীবনমান নিয়ে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে বিদেশীদের ঢল নামে। এর আগে গেল বছরের প্রথমার্ধে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের প্রায় ২৬ জন মন্ত্রী ও কূটনীতিক কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্প এবং এর আশপাশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ঘাঁটি পরিদর্শন করে গেছেন। এর মধ্যে গেল বছরের ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিক পি শোয়ার্জ এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একদল কূটনীতিক একটি বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজার আসেন। এর পর পরই তারা উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ও টেকনাফের লেদা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বৈধ ও অবৈধ শরণার্থী ক্যাম্পে কাজ করে এমন কয়েকটি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) বৈধ-অবৈধ রোহিঙ্গাদের ‘তৃতীয় বিশ্বে যেতে চাই’ অন্যথায় বাংলাদেশেই থাকতে চাই’ এমন প্ল্যাকার্ড ও পেষ্টুন ঝুলিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। তারা কৌশলে রোহিঙ্গা ইস্যু ঝিঁেয় রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রী শরণার্থী ও অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে ঢাকায় সরকারী কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তার এ সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিঙ্গপ্তিতে বলা হয়েছিল,‘বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাগবে সংশ্লিষ্ঠ সরকার গুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।’ আর দাতা দেশগুলোর এরূপ আচরনে রোহিঙ্গা সমস্যা সহসাই সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠ মহল।
একই বছরের ৬ এপ্রিল পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবশালী ১৫ টি দেশের রাষ্ট্রদূত সহ ১৯ জন প্রভাবশালী কূটনীতিক কক্সবাজার ঘুরে গেছেন। তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির নেতৃত্বে ইউনিএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিঃ ক্রেইগ সের্ন্ডাস, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার ডঃ জষ্টিন লি, যুক্তারাজ্যের হাই কমিশনের হেড অব পলিটিক্যাল জেকুলিন ডেলি, কানাডার হাই কমিশনার মি. রবার্ট মেকডপাল, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত চার্লি কোসার্ট, জার্মানির রাষ্ট্রদূত মিঃ হোলগার মিসেল, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিঃ এ জেএমজি ছেহলেকেস, হেড অব মিশন মিস ডরিস ভোরাব্রাক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিসেস ব্লাগনি ব্লিটলন্ড, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত মিস এনেলি লিনগল কেনি, পলিটেকনিক্যাল কনস্যুলার মিস কেরিন ওহমান, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন গর্রিযেল ডেরিগেটি, মার্কিন এম্বেয়েল পলিটিক্যাল অফিসার কোলিয়ার গ্রাহাম, স্পেনের ডেপুটি হেড অব মিশন এডোর্রার্ডো রোমেরা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানানা , বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি মিস ক্রিসটা রেডার, ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ কোরাল ডি রয়, ইউএইচসিআর এর সিনিয়র কর্মকর্তা অর্জন জুয়েল সহ সিনিয়র কর্মকর্তারা ওই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন। এসব কূটনীতিক উখিয়ার কুতুপালং শিবির, টেকনাফের নয়াপাড়া সহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির পরির্দশন করে ঢাকায় গিয়ে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও জীবনমান নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেন। একই সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ মহলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাতার (এমডিজি) আদলে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহনের সুপারিশ করে।
প্রভাবশালী দাতা দেশ গুলো নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সকল রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা করতে চায়। এজন্য তারা সরকারী ও বেসরকারী খাতে ব্যয় নির্বাহে তহবিল গঠন করেছে। তবে বাংলাদেশ এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করুক তা চায় না বলে জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দাতা দেশগুলো থেকে কোন তহবিল নেয়ার পক্ষে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ সরকার। দাতা দেশগুলো সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশি পরিমানে টাকা ব্যয় করে জীবনমান উন্নত করে তুললে প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা এদেশে আসতে উৎসাহিত হবে। সরকারের আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও দাতা দেশগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতেই বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহী।
এছাড়া সরকারকে না জানিয়ে জাতিসংঘের শরর্ণাথীবিষয়ক সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যার্ন্ডাস সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করায় তাকে সরকারের অবস্থান জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্র জানিয়েছে, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি শরণার্থী শিবিরের বাইরে টেকনাফ বা সীমান্ত এলাকায় যাবেন এমনটা সরকার আশা করেনা। এছাড়া বিদেশী এনজিওগুলো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে ইন্ধন দিচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিও গুলোর উপর নজরদারী অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া গত ১৯ জুন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করে এমন ৭টি এনজিওকে সর্তক করে দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই ৭ টি এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তাদের কাছে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। এর পরও রোহিঙ্গাদের এ দেশে আসতে উৎসাহিত করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ৩টি এনজিও’র কার্যক্রমে নিষেধাঙ্গা আরোপ করে। জেলা প্রশাসক ওই সময় বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের সহানুভুতির কোন কমতি নেই। আমরা তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ঠেকিয়ে দিচ্ছি বটে কিন্তু তাদের প্রতি অত্যন্ত ভাল আচরণ দিচ্ছি। এমনকি একজন ক্ষুধার্থ রোহিঙ্গাকে পেট পুরে খাবারও দিচ্ছি। দেয়া হচ্ছে ঔষুধও। কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় কর্মরত এ ৭টি এনজিও হচ্ছে যথাক্রমে মুসলিম এইড, এমএসএফ (হল্যান্ড), এ.সি.এফ, সেভ দ্য চিলড্রেন, ভি.ই.আর.সি, টি.এ.আই ও আর.আই.বি। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের নিকট এ রকমও খবর রয়েছে-এনজিওগুলো নানাভাবে নাফ নদীর ওপারের আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশী নাগরিক এবং বিদেশী যে কোন সংস্থা বা সংগঠনকে দেশের প্রচলিত আইন মেনে নিতে হয়। দুনিয়ার দেশে দেশে এ নিয়মই চালু রয়েছে। আর তেমনি আমাদের দেশে যে সব বিদেশী নাগরিক এবং বিদেশী এনজিও রয়েছে তাদের বেলায়ও প্রযোজ্য এ আইন। তবে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত এনজিও প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথা তুলে ধরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমান সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, সরকার কিছুতেই আর একজন রোহিঙ্গাকেও এদেশের ভূখন্ডে স্থান দিবে না। আর একারনেই আপনারা যারা এনজিও নিয়ে কাজ করছেন তাদের প্রত্যেককেই সরকারের নীতিমালার আলোকেই কাজ করতে বাধ্য বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন-অন্যথায় দায়িত্ব নিজেকেই বহন করতে হবে। সর্বশেষ গত ১৯ জুন অস্ট্রিয়ান এক নারী টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার যাওয়ার চেষ্ঠাকালে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
Leave a Reply