আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ :
পর্যটন ও সীমান্ত শহর টেকনাফের সবুজ-শ্যামলে পরিবেষ্টিত একমাত্র ন্যাচার পার্কটি হতে পারে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ স্পট। আর পর্যটকদের সমাগম ঘটলে সরকার পাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। প্রতি বছর শীত মৌসুম আগমনের শুরু থেকেই টেকনাফে হাজার হাজার পর্যটক সমাগম ঘটে। সবুজে পরিবেষ্টিত ন্যাচারা পার্কে প্রাকৃতিক ঝর্না, বড় বড় জাম ও আকাশমনি গাছে ভরপুর, হরেক রকম পশু-পাখির কলরবে মূখরিত এবং বন্য হাতির উপস্থিতিসহ অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব এ পার্ক অবলোকন করতে পারবেন পর্যটকরা।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমমিয়াতে প্রায় ১১ হাজার ৬’শ ১৫ হেক্টর পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে গত ২০০৮ সনে ন্যাচার পার্কটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ইতিমধ্যে এ পার্কের একটি ভবনে বিভিন্ন প্রজাতির ছবি ও ডাক সম্বলিত ইলেক্ট্রনিক্স মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাতে পার্কের প্রাকৃতিক পশু-পাখির নাম, ছবি ও আকৃতি সম্মন্ধে পর্যটকরা হুবহু ধারনা নিতে পারেন। এ পার্কে রয়েছে একটি ৪২ সদস্য বিশিষ্ট শক্তিশালী পাহারাদল ও পর্যটক ইকো-গাইড দল। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যে কোন সমস্যা সমাধানে এরা অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়া রাত-দিন পার্কটির গাছ পাহারায় এরা সচেষ্ট। বনবিভাগের অধীনে পরিচালিত ও নিসর্গ-আইপ্যাক এর সার্বিক সহযোগীতায় এ ন্যাচার পার্কটিতে পর্যটকের জন্য বিভিন্ন মনোরম লোকেশন করা হয়েছে। পর্যটকরা ন্যাচার পার্কের পাহাড়ী ছড়া, পাখির ডাকে মূখরিত বনপথ, বিশ্রাম স্থল, বন্য হাতির অবলোকন, পাহাড়ের চূড়া হতে চারদিক অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন।
পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, প্রচারনার মাধ্যমে পর্যটকদের অবগত করা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যাচার পার্কের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের আরো যতœবান হতে দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply