মুহাম্মদ তাহের নঈম,..টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় এক সৌদি প্রবাসীর জমি জবর দখল ভাংচুর সহ ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দিন দুপুরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা দা কিরিছ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ও বাড়ী ভাংচুর অতঃপর লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় অন্তত: ১২ জন আহত হয়। তম্মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। আহতদের টেকনাফও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়- গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপরে হোয়াইক্যংয়ের নয়াপাড়া এলাকার সৌদিপ্রবাসী হাজী মৌলানা ফরিদুল আলম ফারুকীর দীর্ঘ ২৮বছরের ভোগ দখলীয় জোত জমি প্রতিপক্ষ মোঃ হোছাইনের লোকজন জনৈক নুর হোছাইনের নেতৃত্বে ৫০/৬০জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী জমিও ঘর জবর দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ সময় একটি টিনের কুড়ে ঘর ও সীমানা প্রাচীর ব্যাপক ভাংচুরও লুটপাট চালায়।ভাংচুরকৃত ঘরের ভিতর রক্ষিত আলমিরা, শো‘কেস চেয়ার টেবিল সহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার আসবাব পত্র,মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মৌলানা ফরিদুল আলমের পুত্র-সন্তানরা বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরো ব্যাপক ধারন করে। এতে এক পর্যায়ে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রবাসী ফরিদুল আলমের বোন রশিদা বেগম(৬০) পারভিন আক্তার(২৮) পুত্র সাইফুল আলম ফারুকী (২১), মৃত মোঃ বকসুর পুত্র মোঃ ইসমাঈল (৪৫), মোঃ হানিফের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪২), মোস্তাক আহমদের পুত্র মোঃ আলম (২৫), ফরিদুল আলমের পুত্র মনির ফারুকী (২৪), মৃত মোঃ বকসুর পুত্র কামাল আহমদ (৩৫), কামাল আহমদের পুত্র মোস্তাফা (২৫), অলি আহমদের পুত্র ছৈয়দ আকবর (৩০) আহত হয়। অপরদিকে প্রতিপক্ষের মুহাম্মদ হোছনের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৩৫), বাচা মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন (২৫) সহ ১২ জন আহত হয় । রশিদা বেগম(৬০) পারভিন আক্তার(২৮) এর অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে কোন সময় প্রাণক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। সৌদি প্রবাসী মৌলানা ফরিদ আলমের পুত্র মনির ফারুকী ও হাফেজ মোঃ হানিফ জানান- সরকার সমর্থক এলাকার ভূমি জবর দখলকারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের খরিদকৃত জমি দখল নিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা টিন তৈরি চর্তুপার্শ্বের ঘেরা কুড়ে ঘর ভাংচুর করে। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এছাড়া সন্ত্রাসীরা অস্ত্র শস্ত্র দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ীর লোকজনদেরকে মারাত্মক আহত করে। এ ব্যাপারে নিরীহ প্রবাসীর পরিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।এ ঘটনায় মোট ৮জন কে চিহ্নিত করে আরো অঙ্জাত নামা ১৫/২০জন কে কে আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা(৬২/৫৮৮/তাং ২৩,০৯,২০১২ দায়ের করা হয়।
এদিকে পুলিশ এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী আবু বকর ছিদ্দিক ভুট্রোও নুরুল কবির কে কিরিছ সহ কে আটক করেছে।#
মুহাম্মদ তাহের নঈম
টেকনাফ (কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ ০১৭১৫৮৭৮৯৫৯
Leave a Reply