হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,টেকনাফ / আস্ত একটি মাদ্রাসা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। বেশ করেক বছর চালু থাকার পর অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং গ্রামে। টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়কের অতি নিকটে উনচিপ্রাং মদিনাতুল উলুম এবতেদায়ি মাদ্রাসা বিলুপ্তির পর এবার মাদ্রাসার জমি জবর দখলের পায়তারা করছে একটি অসাধু চক্র। মদিনাতুল উলুম এবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্টার পর এলাকার কোমল মতি শিশু কিশোররা ৫মশ্রেণী পর্যনÍ শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখা পড়ায় নিয়োজিত থাকলেও বর্তমানে উক্ত এবতেদায়ি মাদ্রাসাটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় এলাকার সচেতন ও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের যেন শেষ নেই।উক্ত মাদ্রাসাটি দীর্ঘ লম্বা টিনের চাউনি দইটি একাডেমিক ভবন থাকলেও বর্তমানে তার কোন অস্থিত্ব নেই । মাদ্রাসার দুইটি টিনের দ্বারা নির্মিত ভবন বিদ্যামান থাকলেও হঠাৎ এলাকার একটি অসাধু মহল রাতারাতি অবকাঠামো,আসবাব পত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পর লুন্ঠনকৃত মালামালের কিছু অংশ সদ্য নির্মিত উনচিপ্রাংয়ের একটি মার্কেটের নির্মাণ কাজে অবৈধ ব্যবহার করলেও বাকি মালামাল তাদের হেফাজতে সুরক্ষিত রয়েছে।তা উদ্ধারে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।
জানা যায়, উনচিপ্রাং ষ্টেশনের দক্ষিণ পাশে কবর স্থান সংলগ্ন মরহুম হাজ্বী আবদুল হালিমের ওয়ারিশ গণের মালিকানাধীন জমিটি উনচিপ্রাং মদিনাতুল উলুম এবতেদায়ি মাদ্রাসার নামে রেজিঃ কবলামূলে দান করা হয়। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারি সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবদুল বাছেত ,মৌঃফরিদ প্রমুখদের নিযে একটি কমিটি গঠন করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছিল। প্রায় ৫বছর যাবৎ মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসলেও সম্প্রতি মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার অবকাঠামো ও মাঠ গোচারণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ###
Leave a Reply