এম আবুল কালাম আজাদ………কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হয়ে নিয়মিত স্কুলে আসা যাওয়া করছে। কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয় সহ সীমান্তবর্তী মাধ্যমিক স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম পক্ষে শতাধিক রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়া করছে। তাদের টার্গেট বাংলা ভাষা ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব লাভ করার।
স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগের নিবিড় তদারকীর অভাবে রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, এসব ছাত্র ছাত্রীরা কৌশলে জন্ম নিবন্ধ, জাতীয়তা সনদ সংগ্রহ করে ভর্তি হওয়ার সময় স্কুলে জমা দিয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের দায় মুক্ত করে থাকে। তবে বিষয়টি আই ওয়াশ মাত্র। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, একেক জন রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সময় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় স্কুল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমেটির সদস্যরা। তবে তারা বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবী করে থাকে। সকাল ৮ টা থেকে স্কুল সময়ে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের আশ পার্শ্বে দাঁড়ালে শতাধিক রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী শরনার্থী ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়ত করতে দেখে যায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্টার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী রোহিঙ্গা ছেলে-মেয়ে অধ্যায়ন করছে কুতুপালং শরনার্থী শিবির থেকে কিছু দুরে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা হিসেবে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রয়েছে, মোহাম্মদ জোহার, এমআরসি নং- ৪০৭০৯ সেড নং ০২/বি (দশম শ্রেনী), মোহাম্মদ সেলিম, এমআরসি নং ১৩৭২ সেড নং ৩৬/এ (দশম শ্রেনী), মোহাম্মদ ইউনূস, এমআরসি নং ৫২৮৫৫ সেড নং ০৬/বি(নবম শ্রেনী) ,ইউসুফ জালাল, এমআরসি নং৫০৯৯৭ ব্লক নং- ১৫/এ সপ্তম শ্রেনী, জাহিদ আলম, এসআরসি নং জে০২৪৩ ব্লক নং ৫৪/সি, সপ্তম শ্রেনী, উমর ফারক, এমআরাসি নং জে ১১৬৪ ব্লক নং-২৮/জি সপ্তম শ্রেনী, মোহাম্মদ আলম, এমআরসি নং- জে ০৫৩০ ব্লক নং- ০৯ /এ (অষ্টম শ্রেনী), মোহাম্মদ জোবাইর, এমআরসি নং- ৫২০১১ ব্লক নং ২১/বি (সপ্তম শ্রেনী) এছাড়াও উম্মে হাবিবা (৬ষ্ট শ্রেনী), আবু তৈয়ব (সপ্তম শ্রেনী), তসলিমা আক্তার (অষ্টম শ্রেনী), খালেদা বেগম (অষ্টম শ্রেনী)। কুতু পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান তার স্কুলে রোহিঙ্গা কিছু ছাত্র ইতি পূর্বে তথ্য গোপন করে ভর্তি হলে তা জানতে পেরে তাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান। অপর দিকে বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয় সহ আশ পার্শ্বের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়া করে থাকে।
Leave a Reply