সোমবার ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
61 বার এই নিউজটি পড়া হয়েছে
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ …ঝিমংখালী থেকে ইয়াবা ও বিয়ার উদ্ধার করেছে বিজিবি। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও বিয়ারগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
টেকনাফ-২ বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ‘২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ঝিমংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকায় নাফ নদীতে নিয়মিত টহলে গমন করে। পরবর্তীতে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় হোয়াইক্যং ইউপিস্থ ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টহল দল দ্রুত বর্ণিত স্থানে পৌছে ঔঁৎ পেতে থাকে। টহল দল সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করে একটি হস্তচালিত নৌকা বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে নাফ নদীর কিনারায় আসার জন্য অপেক্ষারত থাকে। অতঃপর নৌকাটি নাফ নদীর কিনারায় আসা মাত্রই নৌকা হতে চার থেকে পাচঁজন ইয়াবা পাচারকারী ৫টি বস্তাসহ নৌকা হতে নামার সাথে সাথেই টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। আকস্মিক বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা বস্তাগুলো ফেলে রেখে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌড়ে গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া বস্তাগুলো তল্লাশী করে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা মূল্যমানের মিয়ানমারের ৪৬০টি ডায়াব্লু বিয়ার ক্যান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মোট সিজার মূল্য ৯১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও বিয়ারগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে’। ##