মোঃ রেজাউল করিম ,ঈদগাঁও.……জালালাবাদে একটি মাদ্রাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক বিঘিœত হচ্ছে। একমাত্র একাডেমিক ভবনের টিন নষ্ট হয়ে ক্লাস রুমে বৃষ্টির পানি পড়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। জানা যায়, জালালাবাদের মিয়াজী পাড়ায় হাজী অজি উল্লাহ (রেজিঃ) এবতেদায়ী মাদ্রাসার একমাত্র একাডেমিক ভবনের টিন গুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের বিভিন্ন ফুটো স্থান থেকে পানি পড়ে সয়লাব হয়ে উঠে ক্লাস রুম। এতে শ্রেণী পাঠদান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, ১৯৯১ সালে ত্রাণ ও পূর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় মাদ্রাসার একাডেমিক ভনের জন্য ৩৫ বান টিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। যা বর্তমানে মরিচা ধরে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়েছে। সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি পড়ে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে।
জানা গেছে, ১লা জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী মাষ্টার খোরশেদ আলমের বদায়ন্যাতায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি নিয়ে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। এর কিছু সময় পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসাটি নিবন্ধন ভূক্ত করে। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ছাত্র অপেক্ষা ছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
প্রতিষ্ঠাতা মাষ্টার খোরশেদ আলম জানান, তিনি ১ একর ২৬ শতক জমি দান করেন এ মাদ্রাসার নামে। যাতে এক তলা বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরি করা হয়। চলতি বছর এ মাদ্রাসা থেকে ৫৯ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শহিদ উল্লাহ মিয়াজী জানান, সেমি পাকা ১২০ ফুট বাই ২১ ফুট বিশিষ্ট এ ভবনের জন্য ৩৫ বান টিন দরকার। এসমসি সদস্য আবদু ছালাম বাবুল ও নুরুল আলম জানান, বৃহত্তর মিয়াজী পাড়া, পূর্ব ফরাজী পাড়া, খামার পাড়া ও পোকখালীর বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক জহির উদ্দিন, জন্নাত আরা ও মৌলভী জমির উদ্দিন জানান. রামু-কক্সবাজারের মাননীয় সাংসদ শিল্পপতি লুৎফুর রহমান গত বছর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। তা নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দরজা, জানালা ও ঘেরা-বেড়ার মেরামত কাজ সম্পন্ন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাননীয় সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা পরিষদ প্রশাসক মাদ্রাসার সভাপতি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সমীপে পুনঃ মেরামতের জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন দেয়া হয়েছে। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান, নিলুফা আক্তার, শরমিন আক্তার, ফাতেমা আক্তার, মোঃ আরমান ও আবু তালেব সহ তাদের সহপাঠিরা শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সরকারী বেসরকারী কর্তৃপক্ষ সহ শিক্ষানুরাগী ও বিত্তশালীদের মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply