বুধবার ৬ জানুয়ারী ইয়াবা নিয়ে জাদীমুরা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ২ জন আটক বিষয়ে সংবাদপত্র ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আটক হওয়া রোজিনা আক্তার আমার স্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে আমি, আমার স্ত্রী বা আমার পরিবারের কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নাই। আগেও ছিলামনা, এখনও নেই। যা এলাকাবাসী সকলেই জানে।
ঘটনার দিন আমি বাড়ি ছিলামনা, একটি কাজে থাইংখালী গিয়েছিলাম। বাড়ি এসে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনার রহস্য বের করার চেষ্টা করি। এসময় আমার স্ত্রী বাড়িতে থাকাবস্থায় রোহিঙ্গা হাফেজ আহমদের পুত্র কদর ও আমানুল্লাহর পুত্র ছমিং একটি পুটলা আমার স্ত্রীকে দেয়। স্থানীয় এনজিও স্কুল থেকে মাঝেমধ্যে নাস্তার প্যাকেট আমার বাসায় পাঠানো হয়। আমার স্ত্রী সরল বিশ^াসে নাস্তার প্যাকেট মনে করে পুটলাটি হাতে নেয়ার সাথে সাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে ফেলে। পুটলা খুলে দেখে সব ইয়াবা।
আসল ঘটনা হচ্ছে, আমার কেনা জমি নিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে বিরোধ চলছে। তারা আমাকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ নিয়ে অনেক সালিস—বিচারও হয়েছে। কিন্ত তারা হেরে গিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে আমাদেরকে ধ্বংস করার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা কদর ও ছমিং মিলে চক্রান্তমুলক এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। মুল কথা হচ্ছে, আমার স্ত্রী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। যা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এলাকার সকলেই জানে যে, রোহিঙ্গা কদর ও ছমিং চিহ্নিত মাদক চোরাচালানের গডফাদার। তারা প্রায় সময় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চিহ্নিত মাদককারবারীদের নিয়ে গঠিত শক্তিশালী সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে বড় বড় মাদকের চালান আনে। এ নিয়ে প্রায় সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একাধিকবার মাদকের বড় বড় চালান আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। তবুও বন্দ হচ্ছেনা মাদক চোরাচালান।
তাছাড়া প্রকাশিক সংবাদে আমাকে রোহিঙ্গা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। আমি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী বাংলাদেশী নাগরিক। ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু হয়েছে। অতএব প্রকৃত ঘটনা সুষ্ট ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আমার নির্দোষ এবং অসহায় স্ত্রীকে ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি দিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
নিবেদক,
নুর মোহাম্মদ, পিতা—মৃত আমির হামজা, মাতা—ছায়রা বানু,
বর্তমান ঠিকানা— জাদীমুরা, হ্নীলা, টেকনাফ।
Leave a Reply