পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল শুক্রবার ইদুল ফিতর। বৃহস্পতিবার পবিত্র রমযান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পশ্চিম আকাশে বাঁকা কাস্তের মতো পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়া।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর রোজাদারের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর এক মহা আনন্দের দিন। তাই তো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রেখে যাওয়া কবিতা আজো আকাশে বাতাসে সুরের ঝংকার তোলে ‘ও মন রমযানের ওই রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাকিদ’।
এদিকে পশ্চিম আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সবার মাঝে বইতে শুরু করে আনন্দের বন্যা। শুধু রাতটা পোহালেই শুরু হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে মুসলমানদের মিলনের বন্ধন। রাজপ্রাসাদ থেকে কুঁড়েঘর পর্যন্ত খুশির আলোয় আলোকিত হবে। চলবে একে অন্যের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়। কোলাকুলি আর ফিরনি সেমাই খাওয়ার ধুম থেকে বাদ যাবে না কেউই। ঘুম থেকে ওঠার পরই শুরু হয়ে যাবে এসব ধুমধাম।
ঈদের খুশিতে পুরো বাংলাদেশ আনন্দের আলোয় ঝলমল করতে থাকবে। ইতোমধ্যে সবাই ঈদের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। প্রত্যেকেই জামাকাপড়সহ পছন্দের জিনিসপত্র কিনেছে। বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীও বিতরণ করছে। পাশাপাশি ঈদ কার্ডে মনের কথা লিখে প্রিয়জনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই।
অপরদিকে ঈদ যতই কাছে আসছে মোবাইল ফোন খরচ ততই বাড়ছে। আর মোবাইল কোম্পানিগুলোও ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করছে। এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মোবাইল থেকে কলের পাশাপাশি এস এম এস ও বিভিন্ন লগো পাঠিয়ে প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছে অনেকেই। এসবের পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছে অনেকে।
এদিকে ঈদের দিন হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা এবং নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র ও দুস্থ্যদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।