খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমির জানান, রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এর ফলে আজ ভোর পাঁচটার দিকে লালখানবাজারের টাঙ্কির পাহাড় এলাকায় আকবর সাহেবের কলোনিতে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এতে মাটিচাপা পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হন। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পাহাড়ধসে আর কেউ হতাহত হয়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা মাটি সরানোর কাজ করছেন।
চট্টগ্রাম: নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজারের টাঙ্কি পাহাড় এলাকায় পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মা ফাতেমা বেগম (৩৫) ও মেয়ে কুলসুম (১৫)। তারা টাঙ্কির পাহাড় এলাকার ওয়াসার সাবেক কর্মচারী আলী আকবরের কলোনিতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। মা-মেয়ে দু’জনই নগরীর বন্দর থানার ফকিরহাট এলাকায় অবস্থিত ফোর এইচ গার্মেন্টেসে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতভর বৃষ্টির পর পাহাড় ধসে পড়লে মাটিরস্তুপে মা ফাতেমা ও মেয়ে কুসুম চাপা পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দীন জানান, প্রায় ২০ ফুট উপরে অবস্থিত জনৈক ‘বেলায়েত পুলিশের’ ভাড়াটিয়া কলোনি সংলগ্ন পাহাড়ের একাংশ আকবরের কলোনিতে ধসে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় মা ও মেয়ে চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে প্রায় এক হাজার পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন তিন দফায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ১৮০টি পরিবারকে নগরীর বিভিন্ন মাঠে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে।
গত সাত বছরে পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে মারা গেছেন অন্তত ১৮০জন। ২০০৭ সালের ১১ জুন স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসে মারা যান ১২৭ জন।
নিউজটি পড়া হয়েছে (95) বার