আতিকুর রহমান মানিক, ঈদগাঁও:::লবণাক্ত পানির রকমারী প্রজাতির মাছ জেলাব্যাপী বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কক্সবাজার বড়বাজার, সদরের ঈদগাঁও বাজারসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার চিংড়ি ঘেরে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সয়লাব হয়ে গেছে। চলতি বছর চিংড়ি উৎপাদন মৌসুমের মাঝপ্রান্তে বাজারে আসছে চিংড়ি ঘেরে চিংড়ির পাশাপাশি সাথীফসল হিসেবে উৎপাদিত এসব মাছ। কক্সবাজার ফিসারীঘাট, টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট, মহেষখালীর গুরকঘাটা ও কুতুবদিয়া উপজেলার গভীর সমূদ্রগামী ফিশিংট্রলার গুলো সামুদ্রে মাছ না থাকায় অলস বসে থাকার ফলে মাস দু’য়েক ধরে জেলা ব্যাপী মাসুদ্রিক মাছের অকাল সৃষ্টি হয়েছিল। বিগত ৭/৮ দিন ধরে জেলার চিংড়ি ঘের সমূহ থেকে আহরণকৃত বিভিন্ন প্রজাতীর সুস্বাদু মাছ বাজারে বিক্রির জন্য তুলছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে মাছের অকাল অনেকাংশেই কেটে গেছে। দ্বীপ উপজেলা মহেষখালী, কুতুবদিয়াসহ উপকূলীয় পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকার চিংড়ি ঘেরে চিংড়ির পাশাপাশি এখন ধরা পড়ছে তাইল্যা, বাটা, দাতিনা, গুইল্যা, ঘঘ, ভেটকি (কোরাল), কেছকি ও লইল্যাসহ বিভিন্ন প্রজাতির লবনাক্ত পানির সু-স্বাদু মাছ। তাজা এসব মাছ ভোক্তাদের চাহিদা মিঠিয়ে পাঠানো হচ্ছে জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা যোগানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এসব মাছ। কক্সবাজার সদরের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের কাঁচাবাজারস্থ মাছ বাজার এলাকায় শুক্রবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে আহরিত রকমারী প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছের সমারোহ। বাজারে উঠা মাছের মধ্যে তাইল্যা মাছ প্রতি কেজি ৩৫০, বাটা ৩৯০, গুইল্যা ৩৫০, দাতিলা ২৫০, বিভিন্ন সাইজের কোরাল মাছ ২০০-৪০০, ঘঘ মাছ ১৫০-২০০, কেছকি ১৫০-২০০, লইল্যা চিংড়ি ৩২০-৩৫০, চাগা চিংড়ি (ভানামী) ৪০০-৫০০ ও বাগদা চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাতের কাছে টাটকা এসব মাছ পেয়ে ক্রেতারা আগ্রহ ভরে কিনে নিচ্ছেন। সদরের জালালাবাদ খামার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাও. শামশুল হক বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মহান আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন ভাবে তাঁর রহমতের বহিপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকেন।