প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাত রহমান পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর নেতৃত্ব দেয়।
মিছিলটি পিকচার প্যালেস, ডাকবাংলা, সিমেন্ট্র রোড, শান্তিধাম মোড় হয়ে শামসুর রহমান রোড ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ করার কথা ছিলো। কিন্তু ছাত্রলীগের একটি অংশ শান্তিধাম মোড় থেকে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা চালায়।
এসময় প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে জামায়াত কার্যালয়ে। এক পর্যায়ে তারা কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থিত জালালের টি স্টলটি ও দোতলার সিড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে টি স্টলটি সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়ে যায়।
এসময় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকলে আশপাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার করতে থাকে। এসময় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে এ তাণ্ডব চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খানজাহান আলী সড়কের মডার্ণ ফার্নিচার মোড়ের রেটিনা কোচিং সেন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এসময় খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের খবরের প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় আমাদের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়। এরপর কে বা কারা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে তা আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহবুদ্দিন আজাদ পিপিএম বলেন, জেলা ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমাদের তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে অগ্নিসংযোগ বা বড় ধরণের ঘটনা ঘটেনি।
জামায়াতে ইসলামী হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শনিবার দেশব্যাপী ‘প্রতিবাদ কর্মসূচি’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে।
‘নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন বন্ধ, জনদুর্ভোগ লাঘব এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ তারা এ কর্মসূচি পালন করবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। কর্মসূচি পালনে দেশবাসীর সহযোগিতাও কামনা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল।
বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের কাছে জনদুর্ভোগ লাঘবের ওয়াদা করলেও তাতে ব্যর্থ হয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর হীন উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করেছে। বিচারের নামে প্রহসন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমসহ নয় জনকে তড়িঘড়ি করে সাজা দিতে চাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর অফিস, কোচিং সেন্টার, হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অঙ্গিসংযোগ করছে। পুলিশের সামনে এসব ঘটনা ঘটছে অথচ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তাদেরকে সহযোগিতা করেছে।’
বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন মানুষ সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। তাই জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সরকারের ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ, দুর্নীতি, লুটপাট, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের এবং জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে ২৪ নভেম্বর শনিবার সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
a kormochuchite sorkar bada dile uchit jobab dao.sorkar leauger a noirajjo dekhe o nadekhar vaan dore .kintu birudy ra misil korle tader ghum vange.