কক্সবাজারের রামু উপজেলায় কুরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগ এনে দলবেধে একদল লোক একটি বৌদ্ধপাল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে দেড়টা পর্যন্ত ৩টি বৌদ্ধ মন্দির সহ প্রায় ১৫ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের বর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর হয়েছে শতাধিক বাড়ি।
রামুর স্থানীয় লোকজন জানান, ফেইসবুকে কুরআন শরীফ অবমাননা করে ছবি সংযুক্ত করার অভিযোগ এনে শনিবার রাত ১০ টায় একটি ইসলামী দলের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, রামু উপজেলার বৌদ্ধ পাড়ার উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবকের ফেইসবুক একাউন্টে কুরআন অবমাননাকর ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। বক্তরা ওই যুবককে আটকের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছু পর ফের আবারো একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রামু বড়ুয়া পাড়ার দিকে এগিয়ে যায়। মিছিলটি ওই পাড়ায় পৌঁছার সাথে সাথে মিছিলের কয়েকজন যুবক বড়ুয়াদের কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এর পর থেকে কমপক্ষে ১৫ টি বসত বাড়ি, ‘সাদা চিং’ ও ‘লাল চিং’ নামের ২ টিসহ ৩টি বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর হয় শতাধিক বাড়ি।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত দেড় ১ টা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় দীপক বড়ুয়া জানান, ৩টা মন্দির, বাড়ি ১৫টি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
স্থানীয় এক সাংবাদিক আক্রান্ত এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় জানান, তার বাড়ির পাশের চেরাংঘাটা বড়ক্যাং মন্দিরটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাত পৌনে তিনটায় তিনি বলেন, ওই মন্দিরে আগুন নিভে গেছে।
এছাড়া, রামু মৈত্রী বিহার, সাদা চিংলাল, রামু সীনা বিহার ও জাদীপাড়া বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সবকটি মন্দিরে ভাংচুর ও লুটতরাজ করা হয়েছে।
কমপক্ষে ১০টি বৌদ্ধ গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। পূর্ব মেরোংলোয়া পাড়াটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১০/২০টি ঘর ছিল বলে জানান তিনি।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল জানান, উত্তেজনার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা করছেন। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে, উত্তমের কযেকজন ফেইসবুক ফ্রেন্ড জানিয়েছেন, উত্তম বড়ুয়া নামের রামুর যুবকের ফেইসবুকে কুরআন অবমাননাকর ছবিটি প্রদর্শিত হলেও এজন্য ওই যুবক দায়ী নয়। কারণ তার ফেইসবুকে ইনসাল্ট আলাহ নামের এক ফেইসবুক আইডি থেকেই ছবিটি শেয়ার/ট্যাগ করে দেয়া হয়েছে
Jara dormo k nie barabari kore tader k hotta kora osit..
কোন কাজ করার আগে চিন্তা করা উচিত
কাজ টা কে করেছে বা কাকে দ্বারা কাজটা হয়েছে তা যাচাই করে সেই কাজের বিচার করা উচিত ।
যেই ছবির জন্য উত্তম কে দোষী করা হচ্ছে, হয়তো সে কাজটা না ও করতে পারে ।
আর যদি করে ও তাকে তার এক জনের জন্য একাদিক লোককে কষ্ট দেয়ার কোন মানে হয় না ।
Amader k na boj kono kaj koro thak na. Ja onek k kosto pai.
This was a rumour…..Uttam Barua was not responsible for that He was tagged this picture from a page named Insult allah…
Realy true
What bustard insult allah tag the picture to uttam kumar barua is not a issue actually we can’t tolerate one another of our religious respect.
chudir bhaira r koto mandir rgirja bhangbe ete kuno lav hobe na….era je madar chud jat setya proman hoe jai
ami ekjon Muslim.ami nijeke muslim hisabe poricio dite lajja lage.karan,Barura kokon jogra kore na,tara onno dhramer biruddhe kas korena,tara santipurno ekti jati.ei jati opor ei babe attacar,barite agnisanjog kora,mondir poriye dewa ei jogonno kasa kora amara muslim hoye lajja pawar uci.Islam dharmo santir dharmo bole amra boli kinto islam dharmo kiser santi dharmo ami bujte parci na…..
Ami eta bolbo j facebook a onek fake id ache. Ageh jana uchit uttom ki ata nije upload korche na onno keu tag korche….. Nikson tui nejke ki mone korchos ageh nije chinta kor tui kon jater jaar…. Allah sobai k hedayet daan koruk..