শামশুল আলম শারেক, টেকনাফ / আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন থেকে কক্সবাজার ৪ সংসদীয় আসন উখিয়া টেকনাফের আওয়ামী রাজনীতিতে নতুর মেরু করণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী রাজনীতির পরিক্ষিত সৈনিক হামিদুল হক চৌধূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশে রাষ্ট্রীয় সফরের বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করে। উখিয়া টেকনাফের প্রত্যন্ত জনপদে, চায়ের দোকানে ও কুর্লিং কর্ণার গুলোতে রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ও সাধারন মানুষের মাঝে বিষয়টি কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেককে বলতে শুনা যাচ্ছে হামিদুল হক চৌধূরী এবার আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেতে পারে। কারণ তিনি দীর্ঘ দিনের আওয়ামী রাজনীতির একজন পরিক্ষিত ও ত্যাগী সৈনিক। অতঃপর মিষ্টিভাষী শিক্ষিত এ জননেতাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উখিয়া টেকনাফ সংসদীয় আসন থেকে কি মনোনয়ন পাচ্ছেন? এটাই এখন আওয়ামী ঘরনার নেতা কর্মীদের মূখ্য আলোচনা। তা না হলে তার চেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উখিয়া টেকনাফে অনেক রয়েছে। তারা কেন প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে ভিয়েতনাম ও লাউসে যেতে পারলেন না। নিশ্চয় এখানে কোন হেতু আছে। এমন গুঞ্জন চলছে সর্বত্রই। আবার অনেকে বলতে শুনা যাচ্ছে ব্যক্তি ইমেজ, শিক্ষিত ত্যাগী রাজনীতিক হিসেবে এ আসন থেকে সে মনোনয়ন পেলে জয়ের আশা অনেকাংশে উড়িয়ে দেয়া যায়না। অন্যদিকে উখিয়ার আরেক শিল্পপতি রাজনীতির মাঠে নতুন মূখ হলেও ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত রাজা শাহা আলম। নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশে উপস্থিত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ গরীবদের মাঝে সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। অনেকের মতে তিনি মনোনয়ন পেলে এ আসন টি ধরে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হবে। এদিকে সাবেক এমপি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর নামও এ আলোচনায় সমান তালে স্থান পাচ্ছে। কারণ তিঁিনও উখিয়া টেকনাফের রাজনীতিতে ব্যক্তিগত ও দলীয় ইমেজ সৃষ্টি করে দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়নের অবদান রেখে যাচ্ছে এবং গনমানুষের মাঝে তিনি একজন সৎ, নিষ্টাবান ও অন্যায়ের প্রতিবাদী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি সহজে উড়িয়ে দেয়া যায়না।
অপরদিকে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি আওয়ামীলীগ দলের হয়ে গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে জয়লাভ করার পর থেকে এলাকার নানা মূখী উন্নয়ন, গরীব দূঃস্থদের মাঝে সাহায্য প্রদান ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সহযোগীতাসহ তৃণমানুষের প্রিয়ভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেই চলেছে। এক্ষেত্রে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে তেমন একটা ভাল সম্পর্ক না থাকলেও গণমানুষের আস্থাভাজনের বিষয়গুলোকে পূঁিজ করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া তার পক্ষেই একমাত্র সম্ভব। তবে বিভিন্ন সময় সরকারী বেসরকারী কমকর্তা কর্মচারী ও সূচীল সমাজের লোকজনের প্রতি কারণে অকারণে চড়াও হওয়ার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ইমেজকে বেকায়দা ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। তারপরও অধিকাংশ রাজনৈতিক বোদ্ধামহলের মতে এ আসনের উন্নয়নে এমপি বদির বিকল্প নেই। অন্য কাউকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে নৌকার হাল ধরতে এ চার বিজ্ঞ রাজনীতিকদের মাঝে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন আর কে উড়াবে নৌকায় পাল এটাই এখন দেখার বিষয়।
Bad people get chance only one time. Please nominate good people for welfare of Ukiya-Teknaf.