এম. কফিল উদ্দিন, পেকুয়া : কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাশেম ও তদন্ত কর্মকর্তাকে শো-কজ করেছে বিজ্ঞ আদালত। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ধূরুং অলি পাড়া থেকে নুরুল কাদের নামের এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ থানায় নিয়ে এসে ২১ ঘন্টা আটক রাখার পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট ছৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল আবেদীন এ নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গত রবিবার রাতে সন্দেহভাজন ছৈয়দ আলম নামের এক চোখ অন্ধ নিরীহ পেশায় দর্জিকে পুলিশ আটক করে ব্যাপক মারধরের পর পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শেষে ডাক্তারী ব্যবস্থপত্র সহ ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে। গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়া আদালতে আসামী ছৈয়দ আলমের পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সাথে অস্ত্রসহ ধৃত আসামী নুরুল কাদেরকে দীর্ঘ ২১ ঘন্টা থানায় আটক রেখে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় “কেন নুরুল কাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে- সে মর্মে” কুতুবদিয়া থানা ওসি মোঃ আবুল হাশেম ও সংশি¬ষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালত কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ছৈয়দুল আলমকে আদালতে পাঠানোর সময় মামলার নথিতে উলে¬খ করা হয় অস্ত্রসহ আটক ব্যক্তি নুরুল কাদের ও প্রতিবেশী নূর হোসের গং দের মধ্যে বিরোধ। নূর হোসেনের আত্মীয় বলে উলে¬খ করা হয়েছে আটক ছৈয়দুল আলমকে। পুলিশ নথিতে নুরুল কাদেরের আত্মীয় মৌলভী ছৈয়দ এর সাথে টাকা সংক্রান্ত বিরোধ ও নুরুল কাদেরের ভাই শফিউল কাদেরের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিবেশী নাছিমা আকতারের বিরোধের কথা উলে¬খ করে নাই। নথিতে ছৈয়দুল আলমের বিরুদ্ধে পূর্বের কোন মামলার কথা উলে¬খ না থাকায় থানা পুলিশের বিষয়টি আরও রহস্যজনক বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। এদিকে গত মঙ্গলবার উক্ত ঘটনা রহস্যজনক হওয়ায় এএসপি সার্কেল খালেদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টির তদন্ত চলছে। কিছু দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন হবে। এদিকে সন্দেহভাজন আটক দর্জি ছৈয়দুল আলম সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আযাদ জানান, ছৈয়দ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আমার সহপাঠী ছিল। তার ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত করার জন্য তিনি থানা ওসিকে অনুরোধ করেন। এদিকে সচেতন মহল নিরীহ দর্জি ছৈয়দুল আলমকে গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এম. কফিল উদ্দিন
পেকুয়া প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৮১৫-৩৬৩৮০৮/০১৬৭৬-২৫৩৮৪৬
তাং: ২৪,১০,২০১২
Leave a Reply