আতিকুর রহমান মানিক, ঈদগাঁও….
“অবাজি এদু¹ুন মাইয়াপুয়াইন বাজারত কিয়ল্লা আইস্যে ? কিয়ামত হন কাচে আইস্যেনি”। ঈদ বাজারে মহিলাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে আভাক হয়ে উপরোক্ত উক্তিটি করেছেন ঈদগাঁও’র এক প্রবীন মুরব্বী । কক্সবাজার সদরের বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে ঈদ কেনাকাটায় মহিদাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। হকার মার্কেট থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত বিপনী বিতান ও দোকান সমুহে কেনাকাটার লক্ষ্যে আগত মহিলাদের ভিড়ে পুরুষ ক্রেতারা দোকানে ভিড়তে পারছেননা। রমজান মাসের প্রথম থেকেই শুরু হওয়া ঈদের কেনাকাটায় প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মহিলা অংশগ্রহন করছে। ইসলামাবাদ, পোকখালী, ইসলামপুর, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডি,ভারুয়াখালীসহ সদর ইউনিয়ন ঈদগাঁও’র বিভিন্ন এলাকা থেকে অবিবাহিত যুবতী, ছাত্রী ও গৃহিনী মহিলারা আসন্ন ঈদের প্রয়োজনীয় মার্কেটিং করতে ঈদগাঁও বাজারের মার্কেট সমুহে জড়ো হচ্ছেন। জামা-জুতা প্রসাধনী সহ অপরাপর পন্য দব্যের পাশাপাশি মাছ তরকারী চাল ডাল ও গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মুদি পন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। বাড়ির কর্তা ব্যক্তি প্রবাসে অবস্থান করায় নিরুপায় হয়ে অনেক গৃহিনী কেনাকাটা করতে আসছেন। আবার অনেক তথাকথিত প্রগতিশীল অনেক মহিলা ও কুমারীরা উগ্র আধুনিকতার সাথে তাল মেলাতে নিজে নিজেই মার্কেটিং করতে আসছেন । নিউ মার্কেট কমপ্লেক্স, ইফসো শফি সুপার মার্কেট, সৌদিয়া হকার মার্কেট, বেদার মার্কেট, সুফিয়া মার্কেট, নুরে ছকিনা মার্কেট, হাজ্বি মার্কেট, মাতবর মার্কেট, তাজ সুপার শপ মার্কেট,ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেট সহ ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতান সমুহ এখন মহিলাতে মহিলাময় আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নারী ক্রেতায় ঠাসা হয়ে থাকছে এসব মার্কেট। অতি আধুনিক বনতে গিয়ে কেনাকাটার দারকার না থাকলেও সাজগোজ করে হাতে ভ্যানিটিব্যাগ নিয়ে মার্কেটে টাংকি মারতে আসছেন এরা। এদের কারণে ইভটিজিং সহ নানা অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। ২/৩ দিন আগে ঈদগাঁ’ওর একটি মার্কেটে মহিলাদেরকে ইভটিজিং করার দায়ে ইসলামাবাদ বোয়ালখালী কোনাপাড়ার বখাটে শামশুল আলমকে ধরে গণধোলাই ও কান ধরে উঠাবসা করে শাস্তি প্রদান করা হয়। মৃত মমতাজ আহমদের পুত্র বখাটে শামশুল আলম মুচলেকা দিয়ে কোন রকমে ছাড়া পায়।ঐতিহ্যগত ভাবে রক্ষণশীল ঈদগাঁওতে ঈদ মার্কেটে এভাবে মহিলাদের অপ্রয়োজনীয় অবাধ বিচরণে এলাকাবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বর্ষিয়ান মুরব্বী ও ধর্মপ্রাণ জনগণ মহিলাদের এ রকম অবাধ বিচরণকে সহজভাবে নিতে পারছেন না। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে বাজারের মার্কেট গুলোতে মহিলাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে এক প্রবীনলোক অভাক হয়ে বলে উঠেন “অবাজি এদু¹ুন মাইয়া পুয়ান বাজারত কেন গরের ? কিয়ামত হন হাচে আইস্সেনি”।