মহিউদ্দিন মাহী ॥পবিত্র ঈদকে সামরে রেখে জুতা স্যান্ডেলের দোকানে অধিক মোনাফা লাভ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ক্রেতারা জিম্মি হয়ে পড়েছে বিক্রিতাদের কাছে। সামনে ঈদ তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে উর্ধ্বগতি পর্যায়ে দাম। রমজানের ২০ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে। ঈদুল ফিতর সমাগত। ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কেনাকাটায় ব্যস্ত। কবে বিবেকহীন, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে নিম্নবিত্তের মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছেন বিক্রেতাদের অবিশ্বাস্য, গলাকাটা দাম হাকানো দেখে। সন্তানের আবদার মেটাতে বাবা-মায়েরা এইসব দোকানে ঢুকলেও দামের চোটে ফেটে পড়ছেন রাগে,ক্ষেভে। তখন কোনোভাবেই মানানো যায় না অবুঝ সন্তানদের।
ব্যাবসায়ী কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানাই সাম্প্রাতিক বন্যার কারণে এমনিতেই ক্রেতা সংকঠে পড়েছি সে কারণে। আমরা অধিক মোনাফা আদায় করছি।
কাপড়ের দোকানগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে জুতার দোকানগুলোতে গলাকাটার জন্য বসে আছেন বিক্রেতারা। ঈদে সবাই একজোড়া নতুন জুতো অথবা স্যান্ডেল কিনতে চান। এই চাওয়াটাই যেনো অপরাধ। সেই সুযোগে ক্রেতাকে জিম্মি করছে শহরের পানবাজার রোডের ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্সের অবস্থিত এনেক্স গ্যালারি ও খড়ম নামের অভিজাত জুতার দোকানসহ অন্য জুতার দোকানগুলো।
ক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে কিনতে বাধ্য তাই অধিক মুনাফা আয় করছে এনেক্স গ্যালারি ও খড়মের ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
ছেলেদের শার্ট, পাঞ্জাবি, জিন্স পেন্ট, মেয়েদের সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, ফ্রক, স্কাট, কিনে, পরে স্যান্ডেল এবং জুতার উপর ঝুঁকছে।
গতকাল শহরের স্যান্ডেল ও জুতার দোকানে ঘুরে দেখা গেছে অন্য দোকানের চেয়ে এনেক্স গ্যালারি ও খড়মের দোকানের দাম ভিন্ন। সেখানে লেডিস শো ২৫শ ৭৫টাকা থেকে ১৬শ ৫০টাকা, যা গত বছরে ছিল ১হাজার থেকে ১২শ টাকা, পাড়ি সু ৫হাজার ২শটাকা, শিশুদের কেইচ ২২শ থেকে ২৫শ টাকা, সু ২ হাজার ৭৫ টাকা, জেন্স ২৬শ ৯৫টাকা, কেম্পাস ২হাজার ৭৫টাকা, হাইশ ২৭শ ৫০টাকা। গতবছরের চেয়ে জুতা স্যান্ডেল ইতেমধ্যে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।
খরুলিয়া থেকে ঈদের নিত্য পণ্য কিনতে আসা জুয়েল, শামিমা আক্তার, জানান, তারা গত বছরে যে জুতা ৮ শ টাকা দিয়ে কিনছিলেন সেই একই জুতা গতকাল ঈদ উপলক্ষে বাধ্য কিনতে হয়েছে ২হাজার টাকা দিয়ে। শহরের বৈদ্যঘোনা থেকে মো আয়ুব ও শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া থেকে পারভিন আক্তার, খালেদা আক্তার একই অভিযোগ করে বলেন যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন বেড়েছে।
এই বছর জেলা জুড়ে বন্যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। তার উপর গলাকাটা ব্যবসায়ীদের কারণে সন্তান-সন্ততিদের আবদার মেটাতে করুণ অবস্থা তাদের।
॥প্রেরক ॥
মহিউদ্দিন মাহী কক্সবাজার
০১৮২৫৬৫৫৭৫৯
………………………
প্রাপক
সাইফু ইসলাম সাইফি
টেকনাফ নিউজ ডট কম।
Leave a Reply