আবদুল আলীম নোবেল যুদ্ধাপরাধি হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে আটক শীর্ষ জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারে প্রতারণার মামলা হয়েছে। ২০ বছর আগে আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা রিলিফ অরগানাইজেশনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে মসজিদ, হাসপাতাল, প্রশিক্ষন ইন্সষ্ট্রিটিউট ও পাঠাগার নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা মুল্যের জমি কৌশলে নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন ওই জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার নুরুন্নবী।সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজ্যিষ্ট্রেট আদালত নং-২ কক্সবাজার এ দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার ইনানী মৌজার নুরুন্নবী গং এর কাছ থেকে ১ একর ৯৩ শতক জমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মীর কাশেম আলীর নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। বর্তমান বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।মামলায় উল্লেখ করা হয়, জমির প্রকৃত মালিকদের সাথে মীর কাশেম আলীর চুক্তি ছিল স্থাপনা না হলে তাদের জমি বিনা মূল্যে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ করে এখনও সেই জমি ফেরত দেয়া হয়নি। নেপথ্যে থাকা স্থানীয় প্রভাবশালী ও জেলার শীর্ষ স্থানীয় এক জামায়াত নেতার কৌশলী সহযোগীতায় একই এলাকার মৃত অজিউল্লাহর ছেলে আবুল বশরের নামে আম মোক্তার নামা করে নেয়। এমনটায় দাবি ভোক্তভোগী জমির মালিক পরিবারের।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জামায়াতের নেতা মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে এনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজ্যিষ্ট্রেট আদালত নং-২ কক্সবাজার পি,আর মামলা নং ১২৯/১২ এর বাদী নুরুন্নবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার আর, এ,১৪ নং ধানমন্ডি ৬ নং রাস্তা এলাকার মীর তৈয়ব আলীর ছেলে মীর কাশেম আলী আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা রিলিফ অরগানাইজেশন এর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে জেলার শীর্ষস্থানীয় এক জামায়াত নেতার সহযোগিতায় উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের চোয়াংখালী এলাকার নুরুনবী, নুরুল হোসেন মাষ্টার, জাফর আলম শাশুল আলমদের কাছ থেকে মসজিদ, হাসপাতাল, প্রশিক্ষন ইন্সষ্ট্রিটিউট ও পাঠাগার নির্মাণ করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ১৯৯২ সালের ১৬ জুলাই ইনানী মৌজার আর.এস খতিয়ান নং ১৭৭,১৭৮ বি.এস খতিয়ান নং ১৩৩০ মূলে ১ একর ৯৩ শতক জমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মীর কাশেম আলীর নামে রিজিষ্ট্রি করে নেয়। বার্তমান বাজারে যার আনুমানিক মূল্যে ৭ কোটি টাকা। এছাড়াও নুরুন্নবী জানিয়েছেন, এ-সুবাদে কক্সবাজারের এক জামায়াত নেতার কৌশলে স্থানীয় মৃত অজিউল্লাহর ছেলে আবুল বশরের নামে আম মোক্তার নামা করে নেয়। প্রতারণা করে জমি ভোগদখল ও বিক্রির অভিযোগে রয়েছে ওই চক্ররের বিরুদ্ধে। প্রতারণা করে আম মোক্তার নামা নেওয়ার এমন অভিযোগে আবুল বশরকেও একই মামলার আসামী করা হয়।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফজলুল হক জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটির বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply