গোলাম আজম খান… ২০১০ সালর এই দিনে কক্সবাজার, টেকনাফ রামু, উখিয়ায় গভীর রাতে পাহাড় ধসে ছয় সেনা সদস্যসহ ৫১ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা করা হয়নি। বরং পাহাড় কাটা ও পাহাড়ের চূড়া ও খাদে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বেড়েই চলছে। এক শ্রেণীর ভূমিগ্রাসী চক্র মূল্যবান পাহাড় দখল করে তা কেটে বসবাস উপযোগী করে বিক্রি করে দেয়। এসব জায়গায় বসবাস করছে লোকজন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ২০১০ সালের ১৫ জুন সকালে কক্সবাজার হিমছছিড়েতে পাহাড় ধস ছয় সেনাসদস্য মারা যায়। এ ছাড়াও একই সময় জেলার টেকনাফ, রামু, উখিয়ায় পাহাড় ধসে আরো ৪৫ নারী, পুরুষ ও শিশু মারা যায়। পাহাড় ও পাহাড়ের খাদে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করার কারণে অতিবৃষ্টি হলেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে সচেতন মহল। এছাড়া কক্সবাজার শহরসহ পুরো জেলায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা। স্থানীয় প্রশাসন জানায়, পুরো জেলায় পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সতর্ক থাকার জন্য পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন আছে বলে বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। দেশের বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙনকবলিত গৃহহীন মানুষ এবং রোহিঙ্গারাই মূলত পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে বেশি। এছাড়া জমির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বনবিভাগের পাহাড় দখলের প্রবনতাও বাড়ছে। নির্বিচারে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে বসবাসের কারণে পরিবেশেও মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে পাহাড় কাটা ও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ করতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
Leave a Reply