কক্সবাজারের শহরের আসাদ কমপ্লেক্সে জঙ্গি সন্দেহে আরো ৯জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় সদর মডেল থানার ওসি কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের আসাদ কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে তাদের আটক করে। থানা সূত্র জানিয়েছে,৩ সেপ্টেম্বর রাত ৭ টায় এক ব্যক্তি আসাদ কমপ্লেক্সে কতিপয় সন্দেহভাজন ব্যক্তি গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশ কর্মকর্তা ( উপ-পরিদর্শক) সাহেদ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযাান চালিয়ে ৯ জঙ্গীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হল শহরের উত্তর তারাবনিয়ারছড়া এ আরমান ভিলা নিবাসী হাজী এম মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ আরমান (৪৫)বান্দরবানের আলীকদম পূর্ব পালং পাড়ার মৃত আলী হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন,শহরের উত্তর বাহারছড়া এলাকার মৃত মনিরুল হকের ছেলে সাঈদ আলম (৩০)মিয়ানমারের মংডু ফইরা বাজার এলাকার মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০)শহরের সাহিত্যিকা পল্লীর মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ইলিয়াছ (৩৬)রামু উপজেলার পূর্ব ধেছুয়া পালং এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে কবির আহমদ (৪৭)বাস টার্মিনাল পশ্চিম লারপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ হাশেম (৩৪)হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকার মৃত নজির উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুরুল হাকিম (৩৫)।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান জানিয়েছেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গি সন্দেহে ৯জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইদ্রিস নামে এক মিয়ানমার নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়তলী কক্সকো প্লাস ফার্মেসীস্থ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলে দাবী করছে। তবে তার কথা বার্তায় তাকে মিয়ানমারের নাগরিককে বলে মনে হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তারা কেন আসাদ কমপ্লেক্সের ছাদে কি নিয়ে বৈঠক করেছে কেনইবা তারা একত্রিত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যাচাই বাচাই করতে হবে।
২ সেপ্টেস্বর রাতে ৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা করার পর ঘটনার ১ দিন পার হতে না হতেই জঙ্গি সন্দেহে আরো ৯জনকে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফের সেই কলিম
ঘনঘন রহস্য জনক বিদেশ সফরকারী সেই কলিম উল¬াহ,র অজানা কাহিনী বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও ভাবে প্রকাশিত হওয়ারপর গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে সরেজমিন তন্দ পূর্বক রিপোর্ট উপরে প্রেরণ করেছে। তার বিরুদ্ধে পত্রিকা ও অনলাইনে চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে উক্ত মৌলভী কলিম উল¬াহ মোবাইল সিমসহ তার আস্থনা বদল করে আতœগোপনে রয়েছে। স্থানীয় লোকাজন তার ঘনঘন বিদেশ সফরের রহস্যনিয়ে চায়ের দোকানসহ সর্বত্র মুখরোচক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে শাহপরীরদ্বীপে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত পত্রিকা ও অনলাইনের চাঞ্চল্যকর সংবাদ টক অবদ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। মৌলভী নামধারী ভয়ংকর ও জঘন্য এই বুড়ো লোকটির বিদেশ সফরের নেপথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে কলিম উল¬াহ পেশায় একজন আদম পাচারকারী ও বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার নামে বেনামে রসিদ বই চাপিয়ে ভোয়া চাঁদা কালেক্সনকারী। চোরাইপথে আদম পাচার, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয়- প্রশয় ও তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহসহ দেশদ্রোহী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত । সে পাসপোর্ট বই নং বি-১২৪২৪৩৪সহ একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্রতি মাসেই ৪ থেকে ৫বার দেশের বাইরে গমন করে। টেকনাফ-মিয়নমার সীমান্ত হওয়ার সুবাদে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিশেষত:সুন্দরী যুবতী নারী এনে কন্ট্রাকের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করাই তার প্রধান কাজ। ২০০৮ সনে মিয়ানমারের ২ যুবতিকে বাংলাদেশী পাসপোর্টদিয়ে সিঙ্গাপুরের পতিতালয়ে বিক্রির উদ্যেশ্যে নেয়ার পথে ঢাকা এয়ারপোর্টে আটক হয়েছিল। পরবর্তীতে মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে সে ২ যুবতিকে টেকনাফ ইউএনও,র কার্যালয় থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ফেরত দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করে। তার সফরের তালিকায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আরব আমিরাতসহ ১৬টি রাষ্ট্র রয়েছে। এসব রাষ্ট্রে নিয়মিত যাতায়াত ও সন্দেহ জনক চলাফেরা বর্তমানে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে।তার অবৈধ কর্মকান্ডের সগযোগী হিসেবে আরো কয়েকজনের নাম তালিকায় আসছে। কলিম উল¬াহ আত্মগোপনে থাকলেও তার এক নিকট আত্মীয় একাজে সহযোগীতা দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা যায়- শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিন পাড়ার হাকিম আলী খলিফার পুত্র মৌঃ কলিম উল¬াহ প্রসাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে বর্ডারক্রস করার কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন কৌশল অবলম্বন করে যাতে তিনি বিদেশ পালিয়ে যেথে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ পূর্ণ আস্থার সাথে আইনি সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন সচেতন মহল।###
nwar