মোঃ রেজাউল করিম …কক্সবাজারের বিস্তৃীর্ণ উপকূলীয় এলাকার লবনাক্ত খাল,নদ-নদী, চ্যানেল মোহনা ও খাড়ি সমূহে মিঠা পানির কার্প জাতীয় মাছ ধরা পড়তেছে ব্যাপক হারে। এসব মাছের মধ্যে রুই, কাতাল, মৃগেল, কালিবাউস সহ এমনকি অনেক সময় কৈ,টাকি ও টেংরা মাছ ও উঠে আসতেছে জেলেদের জালে। সদ্যসমাপ্ত বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিপাতের দরুন সৃষ্ট ক্রমাগত পাহাড়ী ঢলের কারণে জেলার বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে অসংখ্য পুকুর ও মৎস্য ঘের ভেসে যায়। এসব ঘেরে চাষকৃত কার্প জাতীয় মাছ বন্যার পানিতে ভেসে নদ নদী খাল বিল হয়ে অবশেষে সাগরে গিয়ে পড়ে। এতদিন পর্যন্ত ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে সাগরের পানি লবনাক্ততা হারিয়ে মিষ্টি হয়ে যাওয়ায় মিঠা পানির এসব মাছ সাগরে বিচরণ করে। কিন্তু বর্তমানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার দরুন যথারীতি সাগরে স্বভাবিক লবনাক্ততা ফিরে আসার কারণে লবণ পানিতে অনভ্যস্ত এসব মিঠাপানির মাছ মিষ্টি পানির সন্ধানে উপকূলবর্তী নদনদী সমূহে উঠে আসে। এর ফলে উক্ত নদনদী জলাশয় সমূহে মৎস্য শিকারীদের জালে আটকা পড়তেছে ব্যাপক হারে। সদরের জালালাবাদ খামার পাড়া এলাকার মৎস্য শিকারী শামশুল হক জানান, বিগত মাসাধিক কাল ধরেই ঈদগাঁও নদীর মোহনা ও নদীর অপরাপর অংশে রুই,কাতলা ও মৃগেল মাছ জালে পড়তেছে। খুটাখালীর আরেক মৎস্যজীবি আলী আহমদ জানান, খুটাখালীর ছড়ায় ও অনুরূপ মাছ ধরা পড়তেছে। এ ব্যাপারে আলাপচারিতায় মৎস্য অধিদপ্তরের জনৈক কর্মকর্তা জানান,চলতি বছরে ব্যাপক বন্যার কারণে এসব মিঠা পানির মাছ সাগরে নেমে যায়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল হক জানান,এসব মাছ অনুকূল পরিবেশ পেলে নদ-নদীতে ডিম ছাড়া ও প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
Leave a Reply