২০১২ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, একটি কারিগরি ও একটি মাদরাসা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭। গতবারের তুলনায় পাসের হার ৩ দশমিক ৫৯ বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জন। যা গতবারের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।১৪৪ কলেজের শতভাগ ছাত্র পাস করেছে। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৩ ও মেয়েদের ৭৯ দশমিক ১৯। গতবারের চেয়ে ২১ হাজার ৪০৩ জন বেশি পাস করেছে।ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ০৮, চট্টগ্রামে ৭২ দশমিক ২৯, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৪, যশোরে ৬৭ দশমিক ৮৭, কুমিল্লায় ৭৪ দশমিক ৬০, বরিশালে ৬৬ দশমিক ৯৮, সিলেটে ৮৫ দশমিক ৩৭, দিনাজপুরে ৭৫ দশমিক ৪১, কারিগরি ৮৪ দশমিক ৩২ ও মাদরাসা বোর্ডে ৯১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।বুধবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদসহ সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে www.educationboardresults.gov.bd এ ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
এছাড়া মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC টাইপ করে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নাম্বার, স্পেস দিয়ে শিক্ষাবর্ষ টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করেও ফলাফল জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ২২ মে শেষ হয়। এ পরীক্ষার তত্ত্বীয় অংশের পরীক্ষা ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ২০ মে শেষ হয়। আর ২৩ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। দেশের ২ হাজার ১৯৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মোট নয় লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে চার লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৫ ছাত্র ও চার লাখ ৩০ হাজার ৪১৯ ছাত্রী।
এবারই প্রথম বাংলা প্রথমপত্র সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগে একটি করে আরো তিনটি বিষয় সৃজনশীল পদ্ধতি হবে। ২০১০ সালে এই ব্যাচের মধ্য দিয়েই এসএসসিতে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালু হয়।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে রয়েছে সাত লাখ ৫০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুই লাখ ৩৫ হাজার ৭২০ জন, যশোরে এক লাখ সাত হাজার ৩৮০ জন, রাজশাহীতে এক লাখ ছয় হাজার ৮০০ জন, দিনাজপুরে ৮৭ হাজার ১৮৩ জন, কুমিল্লায় ৭৮ হাজার ৮৯৩ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৪৫৩ জন, বরিশালে ৪২ হাজার ৬৮০ জন এবং সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৩৭ হাজার ৭৪৩ জন।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিমে ৮৫ হাজার ২২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৮৬ হাজার ৪১৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
Leave a Reply