রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলার প্রেক্ষিতে সারা দেশের সব গির্জা-মসজিদ-প্যাগোডা-মন্দিরের নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়ার করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে বুধবার মির্জা হোসেইন হায়দার ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও দিয়েছে আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং রামুর ভারপ্রাপ্ত ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রামুর ঘটনা তদন্তে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান বৌদ্ধ নেতাদের ঃ
সময়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জনিয়েছেন ধর্মীয় নেতারা। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রবাহিত না করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্তস্থ বৌদ্ধ বিহার ও বসতবাড়ি পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ও বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের নেতারা মঙ্গলবার দুপুরে রামুর ক্ষতিগ্রস্থ সীমা বিহার ও বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। পরিদর্শন শেষে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেে
Leave a Reply