এম বশর চৌধুরী. উখিয়া /কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশ ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর সকাল ১১টার পালংখালী খালে ভাসামান এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা দাগ এবং রং কাপড় পরিহিত ছিল। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা কান্ডের রহস্য এক বছরেও উদ্ধার হয়নি।
জানাযায়, ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর কাটাখালী পশ্চিম পাড়াস্থ পালংখালী খালে ভাসামান উক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুর গলাকাটা লাশ দেখে স্থানীয় জন সাধারন উখিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছিল। পরবতীর্তে থানা পুলিশ দেশের বিভিন্ন থানায় সংবাদ প্রেরন করে বৌদ্ধ ভিক্ষুর লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় বেওয়ারিশ হিসাবে দাহ সম্পন্ন করেছিল বলে জানা যায়। ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলেও বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা কান্ডের রহস্য উৎঘাটন না হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়াছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুর লাশ উদ্ধার হওয়ার পরপরই তাকে নিয়ে ব্যাপক রহস্য ঘনিভুত হয়। কেউ কেউ বলছে, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সে দেশীয় সাম্প্রতিক দাঙ্গায় শত্রু পক্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে খুন করে লাশ নাফ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে উক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু একজন হুন্ডি ও চোরাচালান ব্যবসায়ী। চোরাই পন্য ও হুন্ডির টাকা আদান প্রদানের জন্য পালংখালী এলাকায় আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে গলা কেটে খুন করে পালংখালী খালে ভাসিয়ে দেয়। এসব রহস্য আজও রহস্য থেকে গেছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন কাউকে গ্রেপ্তার করেনি এবং হত্যাকান্ডের কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
Leave a Reply