এম বশর চৌধুরী উখিয়া………….. উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার গৃহবধূ শাহেদা হত্যা নিয়ে ব্যাপক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৩ জুন স্বামী, সতিন ও শশুর পক্ষের লোকেরা নির্মম ভাবে পিটিয়ে শাহেদা আক্তারকে খুন করেছে বলে জোরালো অভিযোগ তুলেছেন হতভাগা শাহেদার পিতা নুরুল আলম (৪৫)। হত্যা কান্ডের পরপরই একটি প্রভাবশালী মহল শাহেদার পিতাকে চাপ প্রয়োগ করে হত্যা মামলা দায়ের করাতে দেয় নাই। জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে থানায় অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা কান্ডের ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। থানা পুলিশ রহস্য জনক কারণে থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে দায় সেরেছেন। গতকাল কান্নাজড়িত কন্ঠে শাহেদারে পিতা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
জানা যায়, গত ১০ মাস পূর্বে জালিয়া পালং ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামের দিন মজুর নুরুল আলমের কন্যা শাহেদা আক্তার (১৬) কে অপহরণ করে জোর পূর্বক বিয়ে করেন একই গ্রামের ৫ সন্তানের জনক মৃত ফজল করিমের ছেলে ছৈয়দ আহম্মদ প্রকাশ বাবুল (৫৫)। বিয়ের পর থেকে শাহেদা কে তার সতীন মোবারক খাতুন (৪০) ছৈয়দ আহম্মদের ভগ্নিপতি নুরুল ইসলাম শাররিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে বহুবার বিচার শালিস হইলেও হতভাগী শাহেদা প্রভাবশালী স্বামী ও শশুর পক্ষের প্রভাবে ন্যায় বিচার পায়নি। শাহেদার পিতা নুরুল আলম জানান, তার কন্যা কে প্রায় সময় তার স্বামী ও শশুর পক্ষের লোকেরা নির্যাতন করত। গত ৫ মাস পূর্বে জোর করে তার মেয়ের গর্ভপাত ঘটিয়েছে স্বামী ও সতিন মোবারক খাতুন। উক্ত বিষয় নিয়ে তার কন্যা প্রতিবাদ করায় গত ১৩ জুন রাতে শাহেদার স্বামী ছৈয়দ আহম্মদ প্রকাশ বাবুল, সতীন মোবারক খাতুন (৪০) ছৈয়দ আহম্মদের ভগ্নিপতি নুরুল ইসলাম মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে অপপ্রচার চালায়। শাহেদার পিতা নুরুল আলম জানান, তার কন্যার মৃত্যুর পর তার ডান কানের পার্শ্বে, পিটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায়। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশ সুরত হাল রিপোর্টের সময় শাহেদার শরীরের জখমের বিষয় রিপোর্টে উল্লেখ করে নাই।
Leave a Reply