এম আবুল কালাম আজাদ উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে এনজিও সংস্থা ভার্ক’র সেচ্ছাচারিতার কারণে রোহিঙ্গা শিবিরের ১১টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ৭৮ জন শিক্ষকের চাকুরী অনিশ্চিত হয়ে গেছে। পুরাতন শিক্ষকরা চাকুরীতে বহাল থাকার পরও তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় এ সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা বিক্ষোদ্ধ হয়ে উঠেছে, আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষকেরা।জানা যায়, ২০০১ সালে কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে উদবাস্তু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের প্রথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করনের জন্য ইউনিসেফ এবং ইউএনএইসসিআর এর অর্থায়নে আরটিএমআই নামে একটি এনজিও সংস্থা ৩৬ জন রোহিঙ্গা শিক্ষক দিয়ে ১১ টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র চালু করেন। ২০০৮ সালে উক্ত শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলা কারিকুলাম চালু করে ৪০ জন বাঙ্গালী শিক্ষক নিয়োগ দেন। ২০১২ সালের জুন মাসে আর টিএমআই এর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে উক্ত শিক্ষা কার্যক্রম হস্তান্তর করে নেন এনজিও সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক)। আরটিএমআই এনজিও সংস্থা কৃর্তক নিয়োগ প্রাপ্ত ৭৮ শিক্ষকের অভিযোগ, তারা সবাই বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক। তাদের দীর্ঘ দিনের চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে এনজিও সংস্থা ভার্ক নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে, তাও আবার কম বেতনের তা মেনে নেওয়া যায়না। চাকুরী থেকে তাদের বাদ দিলে বাঙ্গালী শিক্ষক ও রোহিঙ্গা শিক্ষকেরা আন্দোলনে যাবেন। এদিকে এনজিও সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন তার সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে তিনি নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পূর্বের শিক্ষকেরা প্রতি মাসে ৪,০৪০ টাকা বেতনে চাকুরী করত। বর্তমানে ভার্ক সংস্থা নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বেতন ধার্য্য করেছে ২,৫০০ টাকা। তা পূর্বে শিক্ষকেরা কখনো মেনে নেবেনা। তিনি বিষয়টি উর্ধবতস কর্তপক্ষকে জানানোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply