এম বশর চৌধুরী উখিয়া, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আনসার ভিডিপির টি আই জসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনিয়ম র্দূনীতির তদন্তের প্রমাণ মেলেছে। আনসারের উপ-অধিনায়ক মোঃ ইসাহাক গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উখিয়া আনসার অফিসে শত শত আনসার সদস্যদের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং আনসার সদস্যদের লিখিত অভিযোগ সংগ্রহ করেন। এ সময় শত শত আনসার সদস্যরা উক্ত টি আই জসিমের অনিয়ম র্দূনীতি ও ইনানী এলাকার আনসারের জমি ভূঁয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে ভুমি দস্যুদের দখল করে দেওয়ার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করলে এবং র্দূনীতির ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় উক্ত টি আই জসিম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কোন কথা না বলে অফিস থেকে চলে যায়। বার বার মোবাইল ফোনে টি আই জসিমকে তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য ডাকিলেও সে আসে নাই। যার কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, গত একমাস পূর্বে টি আই জসিমের অন্তহীন অনিয়ম ও র্দুনীতির বিষয়ে উখিয়ার সাধারণ আনসার সদস্যরা আনসারের মহা পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্ত রিপোর্ট মহা পরিচালকের নিকট পৌছলে উক্ত টি আই জসিম সাসপেন্ড হওয়ার আশংকা রয়েছে। জানা যায়, গত দেড় বছর পূর্বে চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন চৌধুরী উপজেলা আনসার প্রশিক্ষক (টি আই) হিসাবে উখিয়া আনসার অফিসে যোগদান করেন। উক্ত কর্মকর্তা চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম, র্দুনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ভুঁয়া আনসার নিয়োগ, সাধারন আনসারদের চাকুরী দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও র্দূগা পুজার দায়িত্ব পালনকারী গরীব আনসারদের বেতন আত্মসাৎ, বদলী বাণিজ্য, অদক্ষ এবং ভুঁয়া আনসার দিয়ে সশস্ত্র আনসার ক্যাম্প নিয়ন্ত্রন, ভুঁয়া মাষ্টার রোল দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, বিরোধীয় জমি আনসার সদস্য দিয়ে জবর দখল, আনসার ভিডিপির জমি অনত্র বিক্রির পায়তারা সহ বিভিন্ন অপরাধ জনক কাজে আনসারদের ব্যবহার করার প্রমান পাওয়া গেছে। এছাড়াও উখিয়া উপজেলার সমুদ্র উপকুলীয় এলাকায় ৫টি স্বশস্ত্র ও ৪ টি নিরস্ত্র আনসার ক্যাম্প রয়েছে। উক্ত আনসার ক্যাম্পে পুলিশ লাইন কর্তৃক সরকারী নির্দেশে .৩০৩ রাইফেল ও প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ রয়েছে। তথায় প্রতি ক্যাম্পে ১ জন পি,সি, ১ জন এ,পি,সি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার থাকার সরকারী নিয়ম আছে। টি আই জসিম উদ্দিন চৌধুরী দূর্নীতির মাধ্যমে আনসার কম রেখে বেতন ও রেশন আত্মসাৎ করার বিষয়ে তথ্য প্রমান সহ ২২ জন আনসার সদস্য লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ ছাড়াও ক্ষতি গ্রস্থ আনসার সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, উক্ত টি আই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ইনানী এলাকার আনসারের মহা পরিচালকের নামে আনসার সদস্যদের নামে ক্রয়কৃত ৯৬ শতক জমি থেকে ২০ শতক জমি ভুঁয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে ও আদালতে মিথ্যা মামলা করার সহযোগীতা করে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে ভুমি দস্যুদের দখল দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ঘটনাও ফাঁস হয়ে যায়। জালিয়া পালং ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার মোঃ আজিজ লিখিত ভাবে বলেন, আনসারের ২০ শতক জমি ভুমি দস্যদের দখল দেওয়ার জন্য জালিয়া পালং এলাকার আনসার সদস্য ছৈয়দ হোছন, মনজুর আলম. রাহামত উল্লাহকে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে সাহার্য্য সহযোগীতা করার জন্য ঠিক করেছিল। আনসার সদস্যরা প্রতারনা না করায় আনসারের জমি বহাল তবিয়তে এখনো আছে। ইহা ছাড়াও উক্ত টি আই জসিম কক্সবাজার শহরের এস এম পাড়ায় আনসার দিয়ে সিকিউরিটির ব্যবসা করে সিকিউরিটি সদস্যদের বেতন না দেওয়ার ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে। এ ব্যপারে জানার জন্য অভিযুক্ত টি আই জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।
Leave a Reply