আহমদ গিয়াস:
কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া-টেকনাফ) সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রার্থীতা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে এরমধ্যে ৩টি আসনে বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরাই ফের মনোনয়ন পাচ্ছেন। মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে ভাগ্য খুলেছে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদের। বিএনপি সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখনই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। জামায়াতকে বাদ দিয়েই দেশের ৩শ আসনে প্রার্থী তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ (যদি তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হন) অথবা তার সহধর্মিনী বর্তমান এমপি হাসিনা আহমেদ, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বর্তমান এমপি লুৎফুর রহমান কাজল এবং কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া-টেকনাফ) সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রার্থীতা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। কক্সবাজার-১ আসনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) রুহুল আলম চৌধুরীকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা আসন থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। এই আসনে গতবারের প্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) হান্নান শাহকে প্রার্থী করা হচ্ছে গাজীপুর-৪ (কাপাশিয়া) আসন থেকে।
সূত্র জানায়, আরো বেশ কয়েক মাস আগে বিএনপি কক্সবাজারের ৩টি আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এরই জের খালেদা জিয়া রামুর সম্প্রীতি সমাবেশে এসে কক্সবাজারের ৩টি আসনে পৃথক ৩টি সমাবেশ করে কৌশলে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়া ৩টি সমাবেশেই জনগণের উদ্দেশ্যে হাত তুলে অভিবাদন জানানোর সময় দলীয় প্রার্থীকে পাশে রাখেন। বক্তব্য দেওয়ার সময়েও তার পাশে দলীয় প্রার্থীকে দাড় করিয়ে রাখেন। এমনকি তার বক্তব্যেও কৌশলে ‘দলীয় প্রার্থী’র নাম উল্লেখ করেন। তবে তিনি কারো পক্ষে সরাসরি ভোট চাননি।
সূত্র আরো বলেছে, ২ দিনের কক্সবাজার সফরে এসে খালেদা জিয়া জেলার ৩টি আসনে বক্তব্য দিলেও কৌশলগত কারণে তিনি মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় যাননি। তবে তিনি আগামী বছর মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপে সফর করার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ।
তিনি জানান, তাকে এলাকায় ‘কাজ’ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর সকালেও হিলটপ সার্কিট হাউসে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দলীয় চেয়ারপার্সন তাকে আসন পূনরুদ্ধারে তৃণমূল থেকে বিএনপির সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুল্লাহ ফরিদের দাবীর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদকেই প্রার্থী করা হচ্ছে। এমনকি জামায়াতের সাথে জোট হলেও এই আসনটি বিএনপির ঘরে রাখার ব্যাপারে জোর দর কষাকষি করা হবে।
একদিকে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি,অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি…….আমরা জনগণ কোন দিকে যাব?