এইচ.এন.আলম…ঈদগাঁওর পুলিশ ক্যাম্পকে ঘিরে গুটি কয়েক সাংবাদিকদের চলছে শালিস বাণিজ্য। শালিসী বৈঠকের নামে এসব সাংবাদিকরা রাত দিন পুলিশ ক্যাম্পকে ঘিরে গড়ে তুলেছে বিচারশালা। অন্যদিকে পুলিশের নিকট আসা বিচার প্রার্থীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সূত্র জানায়, ঈদগাঁওর এক শ্রেণীর সাংবাদিক নামধারী কতিপয় দালাল ভূক্তভোগীদের যে কোন এক জনের পক্ষ হয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে আপষ রফা দফার কাজে দীর্ঘদিন জড়িত রয়েছে। এসব সাংবাদিক নামধারী দালালদের খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যে সর্বশান্ত হয়েছেন বৃহত্তর ঈদগাঁওর একাধিক পরিবার। ভূক্তভোগীদের মতে দালাল ও ফড়িয়াদের দেন দরবারে পুলিশ ক্যাম্প এখন বিচার শালায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে সাংবাদিকরা ভূক্তভোগীদের ভিন্ন ভিন্ন পক্ষ অবলম্বন করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হচ্ছে হর-হামেশা। কে কিভাবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রায় পক্ষে আনতে পারবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা ও দৌড়ঝাপ দেখা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চৌফলদন্ডীর এক বিধবা মহিলা জানান,স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করে নিজেই ঠকেছি জনৈক সাংবাদিকের কারণে। ঐ সাংবাদিক নাম ধারী দালাল আমার বিবাদীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে পুলিশকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে অবশেষে দোষটা আমার উপর চাপিয়েছে। এ রকম অসংখ্য ভূক্তভোগী প্রতিদিনই সাংবাদিকদের শালিস বাণিজ্যের শিকার হচ্ছেন। ইসলামাবাদের আবদুচ ছোবহান জানান, পাসপোর্টের পুলিশ প্রতিবেদন ক্লিয়ারেন্স দেয়ার জন্য জনৈক সাংবাদিককে ২হাজার টাকায় কন্ট্রাক দিয়েছি। টাকা খেয়ে ঐ সাংবাদিক উল্টো বার্মাইয়া বলে পুলিশকে আমার উপর লেলিয়ে দিয়েছে। পোকখালীর গোমাতলী গ্রামের গিয়াস উদ্দিন জানান, পুলিশ ক্যাম্পে গত ৩০ আগষ্ট বিচারের দিন ছিল। এতে আমার বিপক্ষ দলের হয়ে উপস্থিত একজন সাংবাদিক মোবাইলে ৫হাজার টাকা দাবী করে। শুধু এখানেই শেষ নয় বিভিন্ন ফেরারী,দাগী ও নারী নির্যাতন মামলার আসামীদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসব দালাল সাংবাদিকদের উপর। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ক্যাম্পকে ঘিরে কিছু কিছু সাংবাদিক তাদের ফায়দা হাসিলের মত্ত রয়েছে। যেখানে সাংবাদিকদের পুলিশের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে দু’কলম লেখার কথা সেখানে পুলিশের সাথে তাদের রয়েছে দহরম মহরম। ভূক্তভোগীরা এসব দেন দরবারে জড়িত সাংবাদিকরূপী দালালদের পুলিশের ভাষায় দুলালদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
===========================================================
ছবি/
Leave a Reply