এম , আরমান জাহান , ঈদগাঁও…বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ে বাস কাউন্টার বৃদ্ধি পেলেও টার্মিনাল না থাকায় বাস স্টেশন সংলগ্ন মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।সরে জমিনে দেখা যায় , বৃহত্তর ঈদগাঁও বাস স্টেশনে ডজন তিনেক বাস কাউন্টার থাকলেও নেই কোন গাড়ী থামানোর জায়গা। এই স্টেশনে ককসবাজার হতে চট্টগ্রামী দূর পাল্লার গাড়ীর কাউন্টার তথা সৌদিয়া , শ্যামলিমা , হানিফ, তিশা ও শাহ আমিন পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। এছাড়া ঈদগাঁওয়ের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন তথা ঈদগড় ও বাইশারী যাওয়ার পরিবহনের কাউন্টার হিল লাইন , পোকখালী গোমাতলী যাওয়ার জন্য জিপের কাউন্টার , নাপিত খালী , চকরিয়া যাওয়ার জন্য জিপ কাউন্টার ও ঈদগাঁহ হতে ককসবাজারগামী ঈদগাঁও লাইন, সী লাইন ,মাইক্রোবাস কাউন্টার সহ ডজন তিনেক বাস কাউন্টার বিদ্যামান । কিন্তু এসব কাউন্টারে গাড়ী থামিয়ে যাত্রী নেয়ার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় দূর পাল্লার গাড়ীসহ সকল গাড়ী মহাসড়কের উপর থেমে যাত্রী নেয়। এতে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ।ফলে যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌছতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনেক সময় মহাসড়ক পারাপারের পড়তে হয় মহা বিপাকে। এছাড়াও হাজার খানেক সিএনজি , টেম্পু , মাহিন্দ্রা গাড়ী মহাসড়কের পাশে থেমে যাত্রী নেয়াতে মহাসড়ককে মনে হয় একটা পিচ্ছি গলি । এই পিচ্ছি গলির মধ্যে আবার রিকশা ও থাকে শ’ খানেক তখন এটি যে একটা মহাসড়ক তা অনুধাবন করা অনেকটা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। এই অসংখ্য গাড়ী তথা রিকশা ,সিএনজি , মাহিন্দ্রা , টেম্পু , ডাম্পার , ট্রাক ,সৌদিয়া , এস আলম , হনিফ , তিশা , শাহ আমিন ইত্যাদি পরিবহনকে স্ব স্ব সাইডে চলাচলে বাধ্য করার জন্য প্রতিদিন কাউন্টার কর্র্র্তৃক নিজস্ব লোক ছাড়াও প্রতি হাট বাজারগুলোতে এক্সট্রা পুলিশ মোতায়ন করা হয়। তারপরও পরিবহন দাড়ানোর নির্দিষ্ট জায়গা তথা টার্মিনাল না থাকার কারণে যানজট লেগেই থাকে। এরকম অবস্থার পরিলক্ষেতে মনে হয় যানজট যেন ঈদগাঁও স্টেশনের নিত্য সাথী। সাজ্জাদ নামে ককসবাজার কলেজে অনার্স পড়–য়া এক রসিক প্রিয় ছাত্র বলে, ঈদগাঁও স্টেশন যেখানে , যানজট সেখানে । টার্মিনাল ছাড়া এই স্টেশনে এভাবে আরো কতদিন যাত্রীদের দূর্ভোগের শিকার হতে হবে? এ প্রশ্নের সমাধান চাই বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের আপাময় জনসাধারন।
Leave a Reply