মোঃ রেজাউল করিম ………ঈদগাঁওতে ১ যুগ ধরে বসবাস করছে ২০ হাজার রোহিঙ্গা সরকারী বনভুমি দখল করে অবৈধ বসবাস করছে অন্যদিকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে। যে কারনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রতিনিয়ত আইন শৃংখলা পরিস্থিতির মারাতœক অবনতি সহ সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কেটে অথবা পাহাড়ের পাদদেশে বাড়ি নির্মান করে চরম ঝুঁকিতে এসব রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সরেজমিনে পরির্দশণে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ভোটার হওয়ার জন্য এসব রোহিঙ্গরা এলাকার জনপ্রতিনিধের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা বিষয়টি সত্য বলে জানায়। ওই এলাকার অবৈধ বসবাসকারী রোহিঙ্গা গোল বাহার জানায় সে দু বছর পুর্বে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ পুর্বক উক্ত এলাকার বসতি স্থাপন করেছে। ৪ ছেলেমেয়ের জনক তিনি। সংসার কিভাবে চলে জানতে চাইলে উত্তরে তার ছেলেমেয়েরা পাহাড় থেকে লাকড়ী সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে সে বলে জানায়। জমি কিভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় , ওই ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলামের নিকট হতে ৭০ হাজার টাকায় ১৪ কড়া জমি সে দু বছর পুর্বে ক্রয় করে। ভোটার হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে না সুচক জবাব দেয়। অপর অবৈধ বসবাসকারী মাহমুদা বেগম জানায়, ১৬ বছর পুর্বে জনৈক লিয়াকতের নিকট হতে ১০ হাজার টাকায় ৬০ কড়া জমি কিনে তিনি অদ্যাবধি বসবাস করে আসছেন। ভোটার হয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনিও না সুচক জবাব দেন। স্থানীয় অধিবাসী দোকানদার ইদ্রিচ মাঝি , ছৈয়দ আলম, আনোয়ারা সহ আরো অনেকে জানায় তাদের কারণে স্থানীয়রা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের কারণে আজ তারা সংখ্যালঘুতে পরিনত হয়েছে বলে জানায়। এছাড়া পরিবেশ ও প্রতিবেশগত হুমকিত রয়েছেই। এলাকার বোঝা এসব রোহিঙ্গাদের কারণে এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশাসন রীতিমত হিমমিম খাচ্ছে। সরকারী বনভুমি দখল কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি-না জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী বলেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কক্সবাজারের বন কর্মকর্তা আবদুল খালেক জানান সরকারী বনভুমি জবর দখল করে অবৈধ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরী করার জন্য ফুলছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জারকে নির্দেশ দেয়া হবে এবং তালিকা তৈরীর কাজ শেষ হওয়া মাত্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ মোঃ মনজুরুল করিম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফুলছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার ভুপেষ মুর্খার্জী জানান, কয়েকবছর আগে তারা অবৈধ রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলেন এবং ডিএফও’র মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছিল বর্তমানে আবারো নতুন করে রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রস্তত করা হবে। এসব রোহিঙ্গদের বিরুদ্ধে শ্রীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা না হলে বনভুমি বিরান ভুমিতে পরিণত হতে পরিণত হতে আর বেশী সময় বাকী নেই বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার পরিবেশবাদীরা।
Leave a Reply