ইসলামী আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় আগামী বছর থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যয় হবে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সরকার ইসলামী আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১২-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে খসড়া আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন লাভ করে। আগামী বছরের প্রথম ভাগেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় একশ’ জনবল লাগবে। এক বছর তাদের বেতন-ভাতা বাবদ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রয়োজন হবে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে সরকার দেশের আলেম সমাজের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ করলো। এতে মাদরাসা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের বিপুল সংখ্যক স্নাতকোত্তর ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের মহাবিদ্যালয়ের এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনটি বিভাগে শাখা খোলার পরও এই বিশ্ববিদ্যালয় অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারছে না। সরকার প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহাবিদ্যালয়সমূহের এফিলিয়েটিং-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারছে না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর কামিল ও ফাজিল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত কামিল ও ফাজিল মাদরাসা এফিলিয়েশনের দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা পরিত্যাগ করা হয়। জমিয়াতুল মোদারেসিনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পৃথক ইসলামী আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। এ নিয়ে সংগঠনটি দীর্ঘ আন্দোলনও করেছে।
দেশে এমপিওভুক্ত কামিল ও ফাজিল মাদরাসা রয়েছে ১ হাজার ১২৭টি। আর এমপিও বহির্ভূত কামিল ও ফাজিল মাদরাসার সংখ্যা ৮শ’। এই সব মাদরাসা এফিলিয়েশনের জন্য পৃথক এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার নতুন ধারা সূচনা হতে যাচ্ছে।
Leave a Reply