মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে রাখাইন বৌদ্ধদের নির্যাতনের শিকার ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম এখনও আশ্রয় শিবিরে অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে বসবাস করছে। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হলেও সরকার এখনও এসব নাগরিককে তাদের নিজেদের বাসগৃহে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেনি।
মিয়ানমারের আশ্রয় শিবিরগুলো পরিদর্শনের পর শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল।
শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তা সার্নাতা রিনোল্ড জানান, মিয়ানমারের সিতউ আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার শরণার্থী বসবাস করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এসব শিবিরে বসবাসরত মানুষ জনের জন্য সরকার জাতিসংঘ ও মধ্যপ্রাচ্যের আরবদেশগুলো থেকে সাহায্য গ্রহণ করেছে কিন্তু চিকিৎসা সেবা, পয়:নিষ্কাসন, এবং স্বাস্থ্য সেবার কোনো উন্নয়ন করা হয়নি।
রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, “আমরা সিতউ’র একটি শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। সেখানে বিদ্যালয়ের একটি বড় রূমে ১৮শ’ মানুষ বাস করছে। তাদের জন্য রয়েছে মাত্র দু’টি টয়লেট।”
গত জুন মাসের পর থেকে রোহিঙ্গারা এই শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদেরকে তাদের বাসস্থানে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানায় রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চেলে প্রায় আট লাখের মত রোহিঙ্গা মুসলিম দশকের পর দশক ধরে জাতিগত বৈষম্যের শিকার।
১৯৮২ সালে সরকার আইন করে রোহিঙ্গদেরকে দেশের উপজাতীর তালিকা থেকে বাদ দেয়। ওই সময় ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠিকে মিয়ানমারের নাগরিক স্বীকৃতি দেয়া হয় যার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম ছিলনা। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
Leave a Reply