স্টাফ রিপোর্টার…একটি বিশেষ মহল কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত চরম অনিয়ম, আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন, কওমি মাদরাসা বোর্ড-বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া (বেফাক) সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ ৬০ জন আলেম।
গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়, কওমি শিক্ষা কমিশনের নামে গঠিত এই কমিটির অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা কওমি মারদাসার শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কওমি মাদরাসার আদর্শ, চিন্তাধারা, শিক্ষার টার্গেট, বাস্তবায়ন কৌশল, স্বীকৃতির শর্ত কোনো কিছু উল্লেখ না করে শুধু সিলেবাসের একটি খসড়া মতামত যাচাইয়ের জন্য ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে। অথচ কমিশনের সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি খসড়াটি অনুমোদনও করেনি। চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের অধিকাংশই নির্ধারিত বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বিবৃতিদাতা আলেমদের অভিযোগ, যেখানে সিলেবাস কমিটির নিয়মতান্ত্রিক বৈঠক হয়নি এবং উল্লেখযোগ্য কোনো সদস্যও উপস্থিত হননি এবং চেয়ারম্যানও অনুমোদন করেননি। এরূপ একটি সিলেবাসের খসড়া তালিকা মতামত যাচাইয়ের জন্য কীভাবে পেশ করা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তারা আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁকারী দাবিদার দুইজন আলেম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ ও মাওলানা রুহুল আমীন ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেফাকের পক্ষ থেকে আল্লামা আহমদ শফির দেয়া কোনো শর্ত না মেনে সরকারের বরাবর কমিশনের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। বৈঠকের চূড়ান্ত ২১ সদস্যের তালিকা ফেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ জনের নতুন তালিকা দেয়া হয়। এই তালিকায় আল্লামা আহমদ শফির অনুমোদিত বলে চালিয়ে দেয়া হয়। অথচ বেফাক মহসচিবসহ ১১ জনের নাম নেই প্রস্তাবিত তালিকায়। এই হলো তাদের অনিয়মের নমুনা। অচিরেই কওমি কমিশনের নামে অনিয়ম ও নৈরাজ্য বন্ধ না হলে এবং এই অসাধুদের ঘরে ফিরিয়ে না নিলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন আলেমরা।
Leave a Reply