নজির আহমেদ সীমান্ত টেকনাফ …কম খরচে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উঠতি যুবকদের উচ্চ বিলাশী স্বপন দেখিয়ে প্রতারণা করে হীন স্বার্থ হাসিল করছে মানব পাচারকারি একটি দালাল চক্র। ফিটন্সেবিহীন ফিশিং ট্রলারে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী, অপয়যাপ্ত খাদ্য ও অদক্ষ মাঝি দিয়ে চরম ঝুকিতে টেলে দিচ্ছে অসংখ্য মানুষের জীবন। ওই সব দালাল গত ১৪ জুলাই একটি ট্রলারে করে ১২০ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফ দিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়িতে গিয়ে সমুদ্রের মাঝ পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বিপদে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপনে বিভোর মানুষ গুলো। এতে ৯০ জন বাংলাদেশী তবে বাকি ২০জনের সঠিক পরিচয় জানাযায়নি। সমুদ্র থেকে মোবাইল ফোনে তাদের ওই অবস্থার কাথা স্বজনদের জানিয়ে ছিল টেকনাফ উত্তর নোয়া পাড়ার সৈয়দুর। দালাল চক্র কথা বলার সময় ফোনটি কেড়ে নেওয়ার পর সমুদ্র থেকে শেষ কথা বলতে পারেনি সৈয়দুর। চারদিন সমুদ্রে ভেসে জীবন রক্ষার পথ হারিয়ে স্বপনের মালয়েশিয়া নয় মায়ের কোলে ফিরে আসতে চেয়ে ছিল তারা। কিন্তু দালাল চক্র তাদের কে আসতে দেয়নি। এদিকে আদরের সন্তানদের হারিয়ে তাদের মাথাপিতারা বুক ফাটা আহাজারিতে সরকারকে আহবান জানাচ্ছে যেন উদ্ধার করে আনা হয় তাদের সন্তানদের।
দালালচক্র নিজেদের দোষ ঢাকতে নানান গুজব ছড়াচ্ছে। কখনও বলছে তিন দিন পরে সুসংবাদ পাবে, তাদের মিয়ানমার নাসাকা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে, আবার কখনও বলছে বিকল ট্রলার থেকে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার করতে সমুদ্রে গেছে দালালদের অন্য একটি ট্রলার । দালালদের এসব সাজানো আশাবাদ শুনতে শুনতে ধর্য্য হারিয়ে ঘটনার ছয়দিন পর গত ২০ জুলাই টেকনাফ থানায় দালাল হোসেনের বিরোদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে সাগরে নিখোঁজ রবি উল আলমের পিতা জাফর আহমদ। অপরদিকে টেকনাফ স্টেশনের কোস্টগার্ড ও পুলিশ দালালদের আটক করতে অভিযান চালচ্ছে।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাবুবুল হক সমকালকে জানান সম্প্রতি সমুদ্র পথে আদম পাচার কারির অন্যতম সদস্য হোসেন আহমদের বিরোদ্ধে সাগরে নিখোজঁ দের মামলা করেছে। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যহত রেখেছে পুলিশ। পূবে য়ে ধারায় এসব মামলা রেকর্ড করা হত সে অবস্থা আর নেই। এখন মানব পাচারকারি আইনে মামলা হবে, যার সব উচ্চ সাজা মৃত্যু দন্ড।
টেকনাফ স্টেশনের কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন গত কয়েকদিন পুর্বে টেকনাফের একটি এলাকা দিয়ে সমুদ্র পথে আদম পাচারের একটি সংবাদ পেয়েছে। তার ব্যাপারে ওই এলাকায় গিয়ে সে বিষয়ে আরো জেনেছেন বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ও নৌবাহিনীকেও জানানো হয়েছে।
সাগরে নিখোঁজ মালয়েশিয়া যাত্রীদের স্বজনদের ধারণা তারা কেউ বেচে নেই । পাষন্ড দালাল চক্র তাদের খাবার না দিয়ে মেরে ফেলেছে। গত ১৮ জুলাইও টেকনাফের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ১৭ জনকে আটক করেছিল টেকনাফ পুলিশ।
নজির আহমেদ সীমান্ত
টেকনাফ প্রতিনিধি
০১৮১৮০০৪৮১৮
Leave a Reply