অর্জিত লাল সবুজ পতাকা আমার অহংকার
শনিবার ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
54 বার এই নিউজটি পড়া হয়েছে
জাতির পিতার দেওয়া এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, ঘোষণার পরপরই মুক্তিকামী মানুষ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার স্বাদ মনের মধ্যে লালন-পালন করে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে ভয় করেনি বাংলার দামাল ছেলেরা।ফলে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই লাল সবুজের পতাকা। অর্জিত হয়েছে বিজয়,পেয়েছি একটি দেশ। তার নাম স্বাধীন বাংলাদেশ।সাংবাদিক পার্থ সেনগুপ্ত লিখেছেন, অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে রাও ফরমান আলি বিমর্ষ থাকলেও তার সৈন্যরা মনে মনে খুশিই ছিলেন। কারণ অস্ত্র সমর্পণ মানে এখন তাঁরা জেনেভা কনভেনশনের আওতায় এলেন। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভয় দূর হয়েছে।
জেনারেল নিয়াজি এই অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না। আগের দিন তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলকাতার যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিক সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত এক প্রতিবেদনে জানান, ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সেনানিবাসে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। অস্ত্রধারী পাকিস্তানি সৈনিকেরা তাদের ব্যারাক থেকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক কর্নেলকে হত্যার চেষ্টা করলে প্রচণ্ড উত্তেজনা দেখা দেয়। মুক্তিবাহিনীর একটি প্লাটুন ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশপথে পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায়। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কর্তৃপক্ষ তাদের নিবৃত্ত করে। এ ঘটনার পটভূমিতে ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে।
সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত লিখেছেন, অস্ত্র সমর্পণের পরও তিনি কিছু পাকিস্তানি সৈন্যকে সেনানিবাস এলাকায় অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন।
যুগান্তর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা গ্যারিসনে প্রায় এক হাজারের মতো অফিসার থাকলেও সংক্ষিপ্ত সেই অনুষ্ঠানে অস্ত্র সমর্পণ করেন চার শর কিছু বেশি অফিসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকারী জেনারেল সগৎ সিং তাঁর ভাষণে বলেন, তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে বলাটা ‘কষ্টকর’। তবে প্রত্যেক খেলারই কিছু নিয়ম আছে, যুদ্ধেরও আছে। সগৎ সিং জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধবন্দীরা কী কী সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ভোগ করবেন, তা ঘোষণা করেন।
বিজয়ের ৪৭ বছরে টেকনাফবার্তা২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা।
রাশেদুল করিম
সম্পাদক,টেকনাফবার্তা২৪ ডটকম।