টেকনাফ নিউজ ডেস্ক :: অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শনিবার সন্ধ্যার পর মামুনুল হক অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এসময় সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল সহকারে মোগড়াপাড়ার দিকে যান মামুনুল হক। পরে স্থানীয় একটি ঈদগাহ ময়দানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। লাগাতার কাজের চাপের কারণে আমার একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার ছিল। এ জন্য আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন , এখানে মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তার কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে।
এদিকে মামুনুল হককে আটক বা হেফাজতে নেওয়া হয়নি ।
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তার ভাগ্নে মাওলানা এহসানুল হক। তিনি বলেছেন, আমার শ্রদ্ধেয় মামা আল্লামা মামুনুল হককে তার দ্বিতীয় স্ত্রী (আমার মামী)সহ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রিসোর্টে আক্রমণ করেছে।
তিনি জানান, এ বিয়ে কোনো লুকোচুরির বিষয় নয়। এটি পারিবারিকভাবে হয়েছে।
শনিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মামুনুল হকের বিয়ে নিয়ে রাজধানীর জামিয়া রহমানিয়ার শিক্ষক মাওলানা এহসানুল হক বলেন, ‘শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের পরিবারের সদস্যরা আজ নির্বাক, স্তম্ভিত ও বাকরুদ্ধ। আমরা মজলুম ইয়া আল্লাহ। একজন আলেম তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গেলেও দুশমনদের হাতে এভাবে হেনস্তা হতে হবে? ইয়া আল্লাহ, তুমি আমাদের পরিবারের ওপর রহম করো। আমার সম্মানিত মামাকে হেফাজত করো। একজন আলিমের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে আমাদের কলিজা ছিঁড়ে দিলো ওরা। যারা এমন হয়রানি করলো তাদের বিচার চাই। তুমি সব দেখছো আল্লাহ।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মাওলানা মামুনুল হক। পরে তাকে স্থানীয়রা নানা জিজ্ঞাসাবাদ করে। হেফাজতের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা তাকে অবরুদ্ধ করে।
এসময় তাকে শনিবার সন্ধ্যার পর মামুনুল হক অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মামুনুল হক জানান, তার সঙ্গে থাকা নারী নাম আমিনা তৈয়ব। ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন তিনি। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।
মামুনুল হক অবরুদ্ধ এমন খবর শুনে সেখানে সন্ধ্যার পর জড়ো হতে থাকেন তার সমর্থকরা। একপর্যায়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে যান তারা।
পরে রাজধানীতে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply