নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলাবাসীর প্রাণের দাবীতে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ নিয়ে দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের সফলতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজারের পরিচিত এক বিএমএ নেতার আত্মীয় অধ্যাপক ডাঃ অশোক কুমার দত্তকে। মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের ইশারায় তৎকালীন অধ্যক্ষ ডাঃ বি এম ইউছুপ আলীকে বদলী করে উক্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ডাঃ অশোক কুমার দত্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ৫মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এই প্রতিবেদক বেশ কয়েকবার মেডিকেল কলেজে গিয়ে এর সত্যতা পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের একাধিক সহকারি অধ্যাপক, প্রভাষক, বেশকিছু ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীরা জানান বর্তমান অধ্যক্ষ মাসে দুইবার কখনো কখনো সপ্তাহে একদিন এসে চলে যান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের প্রথম পেশাগত ও দ্বিতীয় পেশাগত এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা চললেও অধ্যক্ষ উপস্থিত নাই। উল্লেখ্য থাকে যে, উপধাক্ষ্য নামধারী ডাঃ অরুপ দত্ত বাপ্পী পরীক্ষক না হয়েও পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা বোর্ডে উপস্থিত থেকে উনার আজ্ঞাবহ অকৃতকার্য হবে এমন কিছু শিক্ষার্থীদের পাশ করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা যায়। অধ্যক্ষের নিয়মিত অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এনাটমির অধ্যাপকও মাঝে মধ্যে কলেজে আসেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়। সপ্তাহে দুই তিনদিন ক্লাস থাকে এমন কিছু কিছু শিক্ষকরা নিয়মিত না এসে সপ্তাহের ক্লাস একদিনে আদায় করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বহু নাটকীয়তার পর সৎ ও স্বনামধন্য অধ্যাপক অধ্যক্ষ ডাঃ বি এম ইউছুপ আলীকে সরিয়ে মেডিকেল কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য নিজের পেশাগত উচ্চ আকাঙ্খা পূরণ করার কু-মানষে নিজেদের আজ্ঞাবহ ও আতœীয় একজন অধ্যাপককে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে কুচক্রি মহলটি তাদের কাঙ্খিত মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচেছ। কিন্তু মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও মেডিকেল কলেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য বহুবার ফোন করেও কল রিসিভ না করায় অধ্যক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। তাই অনিয়মে চলা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী সচেতন মহলের।য়ানমারে পাচারকালে
Leave a Reply